মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-অধিদপ্তর
নিয়োগ বাণিজ্যে নানা প্রশ্ন
এলডিডিপি প্রকল্পে এক উপজেলা থেকে ৩০ জন চাকরি পেয়েছেন * চিড়িয়াখানায় ৫২ কর্মচারীর ৩২ জনই চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তদবিরে * সাভার কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে ১৪টি পদে পছন্দের লোক দিতে নিয়োগ আটকা
মাহবুব আলম লাবলু
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প।’ এই প্রকল্পের গাড়িচালক পদে (মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালানোর জন্য) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩৬০ জনকে।
অভিযোগ আছে, এদের মধ্যে ১৮০ জনই মন্ত্রণালয়ের তদবিরে নিয়োগ পেয়েছেন। এই ১৮০ জনের মধ্যে আবার ৩০ জন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের এলাকা পিরোজপুরের বাসিন্দা। এর মধ্যে ২৫ জন নাজিরপুরের। আর ছয়জন একই গ্রামের। একটি উপজেলায় একযোগে প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এত গাড়িচালক কিভাবে পাওয়া গেল তা নিয়েও অধিদপ্তরের ভেতরে-বাইরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শুধু এই প্রকল্পে নয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগে প্রভাব বিস্তার করছে মন্ত্রণালয়ে গড়ে ওঠা শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এরা পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটে জড়িত, এক রাজনৈতিক ‘দালাল’, পিরোজপুরের এক উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। যুগান্তরের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে উল্লিখিত চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রত্যেকটা চাকরির ক্ষেত্রে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। যারা আবেদন করেছে নির্ধারিত বোর্ডের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যোগ্যরাই চাকরি পেয়েছে।’
এলডিডিপি প্রকল্পে নাজিরপুরের ৩০ জন ড্রাইভার নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অযোগ্যরা যে এখানে চাকরি পায়নি তার বড় প্রমাণ আমার এক কাজিনের ছেলেও অ্যাপ্লাই করেছিল কিন্তু তার চাকরি হয়নি। কারণ গাড়ি চালাতে গিয়ে সে ফেল করেছে। আমি আমার এক আত্মীয়কে দিয়েছিলাম কিন্তু পরীক্ষা বোর্ডে থাকা বিআরটিএ’র প্রতিনিধি ফাইন্ডআউট করেছে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক নয়। ফলে তার চাকরি হয়নি। আবার আমার এলাকার অনেকের চাকরি হয়েছে যাদের আমি চিনিও না।’
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ‘মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি)’র জন্য ৩৬০ জন গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাসিক ৩০ হাজার টাকা বেতনে ১৬তম গ্রেডভুক্ত কন্ট্রাক্টচুয়াল সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে এদের নিয়োগ দেওয়া হলেও বিজ্ঞপ্তিতে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়নি। তবে চাকরি প্রার্থীর অবশ্যই বিআরটিএ কর্তৃক প্রদত্ত ন্যূনতম হালকা যান চালানোর হালনাগাদ বৈধ লাইসেন্স থাকার শর্ত ছিল।
এছাড়া প্রার্থীর যে কোনো সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা স্বনামধন্য ব্যক্তির গাড়ি চালনাসহ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ন্যূনতম ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের তদবিরে চাকরি পাওয়া বেশিরভাগ প্রার্থীর এই দুটির বৈধ যোগ্যতা ছিল না। তারা ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অভিজ্ঞতার কাগজপত্র বানিয়ে চাকরি নিয়েছে।
ফলে যেদিন উপজেলা পর্যায়ে গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে সেদিন নিজ নিজ অফিস থেকে ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা নিজস্ব ড্রাইভার দিয়ে ‘মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক’ বুঝে নেন।
ঢাকার পাশের একটি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক চালকের অদক্ষতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই হয়তো দক্ষ নন। তাছাড়া সব চালক ম্যানুয়্যাল গিয়ারের গাড়ি চালাতে পারেন না। এ কারণে নিজস্ব চালক দিয়ে গাড়ি বুঝে নেওয়ার একটি নির্দেশনা ছিল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন খোদ মন্ত্রীর নিজের গ্রাম তারাবুনিয়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় তার পোস্টিং হলেও তিনি সেখানে থাকেন না। মাঝে মধ্যে বদলি ড্রাইভার দিয়ে ডিউটি করিয়ে মাসে মাসে বেতন তোলেন। দাপট দেখিয়ে মাসে এক দুবার গিয়ে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের সই করেন। এলাকায় মন্ত্রীর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন বলে অফিসের কেউ তাকে ‘ঘাঁটায়’ না। কথাবার্তা ও চালচলনে সুদর্শন নজরুল ড্রাইভারের চাকরি করেন শুনেই সন্দেহ হয় এ প্রতিবেদকের।
এরপর ড্রাইভার পরিচয়ে চাকরি প্রার্থী সেজে মন্ত্রণালয়ে তদবির করে চাকরি পাইয়ে (এ প্রতিবেদককে) দিতে নজরুলের কাছে অনুরোধ করতেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। মোবাইল ফোনে আলাপচারিতার একপর্যায়ে নজরুল জানান, ‘আমার চাকরি রেফারেন্সে হয়েছে এটা ঠিক। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে তো আপনাকে চাকরি দেওয়া যাবে না। আমি নাজিরপুরে থাকি। এ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে।’
নজরুলের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করতে নাজিরপুর যাওয়ার সময় ঠিক করে তার মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলে তিনি আর রিসিভ করেননি। এরপর অনুসন্ধানে জানা গেছে, আরও ভয়াবহ তথ্য। শুধু নজরুল ইসলাম নন, মন্ত্রীর গ্রাম তারাবুনিয়া থেকে চাকরি পেয়েছেন ছয়জন। আর মন্ত্রীর উপজেলা নাজিরপুর থেকে চাকরি পেয়েছেন ২৫ জন। সব মিলিয়ে ৩০ জন চাকরি পেয়েছেন পিরোজপুর থেকে। এরমধ্যে নাজিরপুর উপজেলার বরইবুনিয়া ও দক্ষিণ বরইবুনিয়া গ্রামের ৪, মাটিভাঙা ও চর মাটিভাঙার ২, বাঘাজোড়ার ১, তারাবুনিয়ার ৬, উত্তর তারাবুনিয়ার ২, হোগলাবুনিয়ার ১, রামনগরের ১, ভাইজোড়ার ২, সমস্তগাতির ১, ষোলোশতক গ্রামের ১, চৌঠাইমহলের ১, বেবুনিয়ার ১, বড়বুইচাকাঠির ১, ছোটবুইচাকাঠির ১ ও উত্তর গাজীপুর গ্রামের ১ জন বাসিন্দা চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পাওয়াদের মধ্যে ইন্দুরকান্দি উজজেলার ১ জন ও পিরোজপুর সদরের ৩ জন বাসিন্দা আছেন।
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেটের হাত ধরে যে ১৮০ জন চাকরি পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগই বরিশাল, বরগুনা, ফরিদপুর, মাগুরা, নরসিংদী, জামালপুর ও টাঙ্গাইলের বাসিন্দা। এদের প্রতিজনের কাছ থেকে ঘুস নেওয়া হয়েছে অন্তত দুই লাখ টাকা করে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-পরিচালক (ডিপিডি) ড. শাফিক-উল-আযম সিন্ডিকেটে জড়িয়ে এদের চাকরি নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনিই চাকরি প্রার্থীদের প্রবেশপত্র ইস্যু করা থেকে শুরু করে সবকিছু তদারকি করেন।
জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-পরিচালক (ডিপিডি) ড. শাফিক-উল-আযম যুগান্তরকে বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডে বিআরটিএ’র প্রতিনিধিও ছিলেন। তাই অদক্ষদের নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ ছিল না।’
আরও জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক ৫২ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩২ জন ঢুকেছেন মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেটের হাতে ধরে। এই ৩২ জনের ১১ জনের বাড়ি নাজিরপুরে। চাকরি পেতে সিন্ডিকেট সদস্যদের ৩-৪ লাখ টাকা করে ঘুস দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মন্ত্রীর নিজ এলাকার যারা চাকরি পেয়েছেন তারা হলেন মো. ইমরান হোসাইন, গোবিন্দ্র চন্দ্র বসু, মো. মোরসালিন, শেখ কবির আহমেদ, মো. শরিফুল ইসলাম, আদনান হোসেন, মো. জাকারিয়া, মো. হামিম ফকির, মো. রিয়াদ সেখ, শরিফুল ও মো. রাকিবুল ইসলাম। এই ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই মন্ত্রীর নিজের উপজেলা নাজিরপুরের বাসিন্দা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বিচার করেই নিয়োগ বোর্ড তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের কার বাড়ি কোথায় সেটা বিচার্য বিষয় নয়।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাভার কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। সেখানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৪ জন কর্মচারী নেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। দরপত্রে অংশ নিয়ে জনবল সরবরাহের কাজ পেয়েছে মেসার্স ফিউচার বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি গত ৩ বছর ধরে দৈনিক হাজিরায় কাজ করা ১৪ জন কর্মচারীর নাম প্রস্তাব করে তাদের নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষকে পত্র দেয়। সে অনুযায়ী তাদের চূড়ান্ত করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয় সিন্ডিকেট সদস্যরা। তারা প্রভাব খাটিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করায়। ল্যাব তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়ে দেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নতুন তালিকা পাঠালে তাদের নিয়োগ কার্যকর করতে। এক মাস ধরে ওই পদগুলো খালি আছে। এখন মন্ত্রণালয়ে বসে সিন্ডিকেট সদস্যরা তালিকা করছে। ওই তালিকাই ঠিকাদারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের এই প্রভাব অমানবিক ও দুঃখজনক। যারা তিন বছর ধরে দৈনিক হাজিরায় কাজ করছেন তারা এখানে চাকরির আসল হকদার। কিন্তু আর্থিকভাবে লাভবান হতে মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট সেটা হতে দিচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের একান্ত সচিব (পিএস) আবু নঈম মো. সবুর যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নই। কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকলে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রীর কিছু পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট থাকে। এগুলো নিয়ে আমার কথা বলাটা ঠিক হবে না।’
সাভার কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে ১৪ কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে তালিকা করার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কেউ একটা সিভিও দেয়নি। তবে যারা তিন বছর ধরে ওখানে কাজ করেছে তাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। এখন নতুন প্রকল্পের অধীনে তাদের চাকরি দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে চাকরি নিশ্চিত করা হয়েছিল এমন কয়েকজনের সঙ্গেও যুগান্তরের কথা হয়েছে। তারা প্রায় অভিন্ন সুরে বলেন, ‘তিন বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস দিয়ে আসছি। ডিসেম্বরে কাজের মূল্যায়ন ও সব স্যারদের (ল্যাব সায়েন্টিফিক অফিসার) মতামতের ভিত্তিতে আমাদের ১৪ জনের চাকরি চূড়ান্ত করা হয়। আনুষ্ঠানিক এক সভায় মৌখিকভাবে আমাদের সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন নানা ধরনের কথা শুনে চাকরির আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছি।’
জানতে চাইলে সাভার কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবের তত্ত্বাবধায়ক সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. মো. আল আমীন যুগান্তরকে বলেন, ‘কারও চাকরি চূড়ান্ত হয়নি। যে প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে তারা যাদের নাম পাঠাবে তারাই নিয়োগ পাবে।’