চমেক ছাত্রাবাসে নির্মম নির্যাতন
চার দিন পরও আইনের আওতায় আসেনি জড়িতরা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসে চার শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় চার দিন পরও হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যায়নি। থানায় কোনো মামলাও হয়নি। পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগীদের কেউ অভিযোগ করতে রাজি নন। এমনকি কলেজ কর্তৃপক্ষও কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় দেয়নি। এ কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে চমেক কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে যে কমিটি করেছে, সেই কমিটির চেয়ারম্যান ছুটিতে থাকায় এখনো শুরু হয়নি কাজ।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চার মেধাবী ছাত্রকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় এ ধরনের অবহেলা কাম্য না। হামলার শিকার শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে হামলাকারীরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদের লেখাপড়ার পথ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় তারা মামলা না করলেও প্রশাসনের বসে থাকার সুযোগ নেই।
সূত্র জানায়, গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে চার ছাত্রকে পর্যায়ক্রমে নির্যাতন করা হয়। তারা হলেন জাহিদ হোসেন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এসএ রাইয়ান ও মোবাশ্বির আহমেদ। চারজনই চমেকের ৬২তম ব্যাচের এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে এই চার ছাত্রকে চমেক শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতাকর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ‘কমিটির চেয়ারম্যান ছুটিতে থাকায় অফিসিয়ালি তদন্তের কাজ শুরু হয়নি। তবে আনঅফিসিয়ালি আমরা কিছু কাজ করেছি। চেয়ারম্যান এলে তদন্তের কাজ পুরোপুরি শুরু হবে।’
এদিকে রোববারও চমেক হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার জাহিদ হোসেন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেন। সাকিব হোসেনের খালাতো ভাই মিজানুর রহমান বলেন, সাকিব আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছেন। তবে কারা নির্যাতন করেছে, এ বিষয়ে এখনো কোনো কিছু তাদের জানায়নি। তার পাশের বেডে অপর শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন ওয়াকিল চিকিৎসাধীন। চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, কেউ অভিযোগ দেয়নি। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।