Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ছন্দ ফিরেছে, ছিমছাম পরিবেশে প্রাণোচ্ছল পাঠক

Icon

হক ফারুক আহমেদ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছন্দ ফিরেছে, ছিমছাম পরিবেশে প্রাণোচ্ছল পাঠক

ফাইল ছবি

অমর একুশে বইমেলায় অনেকটাই ছন্দ ফিরে এসেছে। তারপরও নানা মহল থেকে কিছু বিষয়ে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলা একাডেমি।

বইমেলা টাস্কফোর্স থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি একটি পত্র বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শিশু চত্বরে প্রবেশের রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামত এবং যে সব স্থানে পানি জমে থাকে সেখান থেকে পানি অপসারণ করে বালু দিতে বলেছেন।

এ ছাড়া টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখে, ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে দিয়ে মন্দিরের গেট এবং মাঠের চারপাশে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে বলেছেন। ফুড জোনে যারা স্টল বরাদ্দ পেয়েছেন তারা যেন নির্ধারিত স্থানের বাইরে খাদ্য রান্না, প্রদর্শন এবং সামগ্রী রাখতে না পারেন সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলেছেন। আর বরাদ্দপত্র ব্যতিত প্যাভিলিয়ন, স্টল, খাবারের দোকান বা অন্যকোনো স্থাপনা যেন মেলা প্রাঙ্গণে থাকতে না পারে সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। ফুড কোর্টের বিষয়গুলো ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আরও হবে। টিএসসির দিকটাতে আলোর কী অবস্থা সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আকাশ, প্রথমাসহ যে প্রকাশনাগুলোর বিষয়ে নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ এসেছে তাদেরকে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) চিঠি দেব।

এদিকে মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনের বইমেলা ছিল ছিমছাম। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঠকের আনাগোনা ছিল স্বাভাবিক। যারা মেলায় এসেছেন ঘুরেফিরে কিছু বই কিনেছেন।

মূলমঞ্চে অনুষ্ঠান : কাজী রোজীকে স্মরণ ও দিলারা হাশেম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান ছিল বিকালে। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ ও তপন রায়। আলোচনায় অংশ নেন-আসলাম সানী, শাহেদ কায়েস, আনিসুর রহমান ও শাহনাজ মুন্নী। সভাপতিত্ব করেন অসীম সাহা।

এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মোজাম্মেল হক নিয়োগী, রহীম শাহ, সত্যজিৎ রায় মজুমদার ও তুষার কবির।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মাহবুব সাদিক, ফারুক মাহমুদ এবং আতাহার খান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, মাহিদুল ইসলাম ও অনন্যা লাবণী।

নতুন বই : মঙ্গলবার নতুন বই এসেছে ১২১টি। অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশ হয়েছে হাসনাত আবদুল হাইয়ের ‘নদীপথে, সঙ্গে ইউলিসিস’; একই প্রকাশনী থেকে সাদাত হোসাইনের ‘শঙ্খচূড়’; শব্দশৈলী থেকে রামা চৌধুরীর ‘একাত্তরের জননী’; ঐতিহ্য থেকে প্রতীতি দেবীর ‘ঋত্বিককে শেষ ভালোবাসা : যমজ বোনের স্মৃতিতে ঋত্বিক ঘটক’। পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মোজাফফর হোসেনের ‘বানোয়াট জীবনের গল্পগুলো’, নাগরী এনেছে ইমতিয়ার শামীমের ‘তিনটি মেয়ে একা’, অবসর প্রকাশনা এনেছে শম্পা হাসনাইনের উপন্যাস ‘দ্বিচারক’, অনন্যা এনেছে হানিফ সংকেতের কলাম সমগ্র ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’, শৈশব প্রকাশ এনেছে সানজিদা সামরিনের শিশুসাহিত্য ‘লাল পিঁপড়া ঙিংচিং’, ঐতিহ্য এনেছে আফসান চৌধুরীর ‘১৯৭১ অর্থনৈতিক বৈষম্য’, শ্রাবণ প্রকাশনী এনেছে ডা. মো. আখতারুজ্জামানের কাব্যগ্রন্থ ‘ফাগুনকে দেব অভিশাপ’, বিভাস এনেছে প্রদ্যোত কুমার দাসের আÍস্মৃতি ‘জীবনের জলরঙ’।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম