চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
বিভিন্ন স্থানে শীতজনিত রোগের প্রকোপ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা দুই দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর এ জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে।
এছাড়া রাজশাহী, শেরপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে তীব্র শীত ও কুয়াশা অব্যাহত। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চুয়াডাঙ্গা : সকাল ৯টায় জেলায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগী। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান জানান, গত তিন দিনে সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রাজশাহী : জেলায় বৃহস্পতিবার সকালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহীর ওপর দিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে এ নিয়ে তিনটি মৃদু এবং একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শীতের প্রকোপে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীর ভিড় বেড়েছে। সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ফরিদপুর : জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও সকালে যানবাহন চলে হেডলাইট জ্বালিয়ে। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, মানুষ শীতে যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
শেরপুর : সীমান্তবর্তী এ জেলার পাঁচ উপজেলায় কনকনে শীত অব্যাহত আছে। পৌষের শেষে বয়ে চলা হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারপাশ। শীত, কুয়াশা আর ঠান্ডার মাখামাখিতে বাড়ছে মানুষের ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগবালাই।
কুয়শায় কারণে দৃশ্যমানতা কমে আসায় সড়ক ও মহাসড়কে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে শীতের কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে শীতার্ত মানুষরা জানিয়েছেন।
রাজবাড়ী : ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দিনেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ওষুধ ব্যবসায়ী শাজাহান শেখ বলেন, ডায়াবেটিস থাকায় সকালে আমাকে প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে হয়। আমার জীবনে এই প্রথম এত বেশি কুয়াশা দেখছি। কুয়াশা থাকায় রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচল খুবই কমে গেছে।