ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিকমানের কারিকুলাম
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রফেসর দাতুক সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসির
উপাচার্য, ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়
যুগান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয় কেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে আলাদা? আপনাদের শক্তির জায়গা কোনটি?
প্রফেসর দাতুক সিতি : মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস প্রথম বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। আমরা ঢাকার বনানীতে ১৫টি ফ্লোরের সুবিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। ব্যতিক্রমী শিক্ষাদান ও যুগোপযোগী আন্তর্জাতিকমানের কারিকুলামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাংকিংয়ে বিশ্বের ৩০০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান করছি। এছাড়াও বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছি। এছাড়াও কিউএস র্যাংকিংয়ে এশিয়াতে ৭২তম ও সাউথ-ইস্টার্ন এশিয়াতে ১৬তম অবস্থানে আছি। যা বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরা প্রথম।
আমরা প্রথম BSC in Actuarial Science কোর্স অফার করছি। এ কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এছাড়াও আমরাই প্রথম হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন ডিজাইন, মাসকমিউনিকেশনে (জার্নালিজম, ফিল্ম টেলিভিশন) আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অফার করছি। আমাদের এ উদ্যোগ এ দেশে নারী শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করবে।
যুগান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কী কী সুবিধা রয়েছে?
প্রফেসর দাতুক সিতি : ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পাঠদানের জন্য আধুনিক ক্লাসরুমের পাশাপাশি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বিশেষায়িত কম্পিউটার ল্যাব, ফ্যাশন ডিজাইন ল্যাব, গ্রাফিক্স অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া ল্যাব, ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবসহ সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। এছাড়াও আমাদের শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসের অনলাইন লাইব্রেরি ও ল্যাব ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে ক্লাস করা ও সরাসরি মেইন ক্যাম্পাসে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নরত অবস্থায় ক্যাম্পাসে পার্ট টাইম চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা চাইলে মালয়েশিয়ান মূল ক্যাম্পাস ও বিশ্বের শীর্ষ ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবেন।
যুগান্তর : বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থীরা আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা আছে কিনা?
প্রফেসর দাতুক সিতি : কোভিডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশে এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছেন যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে যেতে পারছেন না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্র্থীরা নিজ দেশে থেকেই তুলনামূলক কম খরচে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস থেকে আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের টিউশন ফি মূল ক্যাম্পাসের টিউশন ফি’র প্রায় অর্ধেক এবং বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমপরিমাণ রেখেছি।
যুগান্তর : মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুযোগ রয়েছে?
প্রফেসর দাতুক সিতি : ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ ভাগ থেকে ১০০ ভাগ স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী রেজাল্ট আর অ্যাডমিশন টেস্টের রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে এ স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৫ কোটি টাকা সমমূল্যের স্কলারশিপের সুবিধা থাকছে। এছাড়াও সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা রয়েছে।
যুগান্তর : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করেন?
প্রফেসর দাতুক সিতি : আধুনিক যুগের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় গড়ে তোলার জন্য আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাসম্পর্কিত সেমিনার ও ওয়ার্কশপ।
যুগান্তর : আপনাদের শিক্ষার্থীরা কী ধরনের ক্যারিয়ারে বেশি যাচ্ছেন?
প্রফেসর দাতুক সিতি : ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস বাংলাদেশে যেহেতু নতুন সেক্ষেত্রে বলতে পারি মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশনের পর যোগাযোগপ্রযুক্তি, আন্তর্জাতিকমানের হোটেল, ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের সরকারি-বেসরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।
যুগান্তর : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলুন।
প্রফেসর দাতুক সিতি : ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস নিয়ে আমাদের সুন্দর কিছু পরিকল্পনা আছে। মালয়েশিয়ার ক্যাম্পাসের আদলে বাংলাদেশে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে।