Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

ডিজিটাল ডিমনেশিয়ায় ভুগছে তরুণ-তরুণী

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময়ে স্মার্টফোন বা ডিজিটাল আসক্তি ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। কখনো কাজ, তো কখনো সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং, সিনেমা দেখা, কখনো আবার গেম খেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে তরুণদের। যার ফলে শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইসের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে অল্প বয়সিদের আক্রান্ত করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া।

ডিজিটাল ডিমেনশিয়া কী?

ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ বলতে সাধারণত ভুলে যাওয়া রোগ বোঝায়। তবে এ রোগের প্রভাব সবার এক রকম হয় না। ডিমেনশিয়া এমন এক মানসিক ব্যধি, যার প্রভাবে চিন্তা ও স্মরণশক্তি, কথা বলা, বিচার-বুদ্ধি এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ বলতে প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বিচার-বুদ্ধি বা জ্ঞানের ক্ষমতার যে পরিবর্তন হয় সেটিই ডিজিটাল ডিমেনশিয়া। তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে স্মার্টফোন ছাড়া কারও এক মুহূর্তও চলে না। ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং তার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার শিকার হচ্ছেন। সে কারণে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হচ্ছে।

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়েছে

সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, তরুণ সম্প্রদায়ের মস্তিষ্ক এবং মানসিকতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে স্মার্টফোন। নিয়মিত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা একটানা মোবাইল ব্যবহারের কারণে মনঃসংযোগের অভাব হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ভুলে যাওয়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানান, স্ক্রিন টাইম দিনে তিন ঘণ্টার বেশি হলে তা আসক্তি হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেকের স্ক্রিন টাইম ১২-১৫ ঘণ্টা, যা বেশ বিপজ্জনক। রাতে বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে তা ঘুমের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীল আলো মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে এবং ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমায়।

ডিজিটাল ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে

‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ থেকে সেরে ওঠার কোনো ওষুধ নেই। তাই এ রোগ হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার কমানোই হবে এর আসল প্রতিরোধ।

সামাজিক মাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ

সোশ্যাল মিডিয়ায় কম বয়সি বিশেষত পড়ুয়াদের আসক্তি কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে পুরো বিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে এ নিয়ে ইতোমধ্যে আইনও পাশ হয়েছে। আইন অনুযায়ী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ফিডে যেন এমন কোনো কনটেন্ট না আসে, যা আসক্তিকর। অ্যাডাল্ট ধরনের কনটেন্টের ওপরও কড়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রয়েছে। প্রয়োজনে অ্যালগরিদমেও পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম