সব ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহ
সানাউল্লাহ মুহাম্মাদ কউছার
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সৃষ্টিকুলের একমাত্র মালিক। তারই হুকুমে সবকিছু পরিচালিত হয়। কুরআনে মহান রব স্পষ্টভাবে বলেছেন-‘বলুন, হে আল্লাহ! বিশ্বজাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান কর এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান কর এবং যাকে চাও লাঞ্ছিত ও হেয় কর। কল্যাণ তোমার হাতেই নিহিত। নিঃসন্দেহে তুমি সব কিছুর ওপর শক্তিশালী।’ (সূরা : আল ইমরান, আয়াত : ২৬)।
অন্য আয়াতে তিনি বলেন-‘তিনিই আল্লাহ। যিনি আকাশমণ্ডলীকে উঁচুতে স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ছাড়া, যা তোমরা দেখতে পাও। অতঃপর তিনি আরশে ‘ইসতিওয়া’ গ্রহণ করেন। সূর্য এবং চাঁদকে নিয়োজিত রেখেছেন বিশেষ কাজে। প্রতিটি বস্তু এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আবর্তন করে। তিনি যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি এসব নিদর্শন সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাস করতে পার, (একদিন) তোমাদের স্বীয় প্রতিপালকের কাছে উপস্থিত হতে হবে।’ (সূরা : রা’দ, আয়াত : ০২)।
মহান রব নিজেই নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন ঠিক এভাবেই-‘তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব। সর্বস্বত্বার ধারক। তাকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব তারই। কে আছে যে, তার অনুমতি ছাড়া তার কাছে সুপারিশ করবে? মানুষের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত। তিনি যা ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তার জ্ঞানের কিছুই তারা (সৃষ্টি) আয়ত্ত্ব করতে পারে না। তার ‘কুরসি’ আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত। এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাকে বিন্দুমাত্রও ক্লান্ত করে না। আর তিনি মহান শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ৫৫)।
অমুখাপেক্ষী হিসাবে আল্লাহ। ‘বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন, (বরং সবাই তার মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকে জন্ম দেননি আবার কারও থেকে জন্মও নেননি। তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সূরা : ইখলাস, আয়াত : ১-৪)।
সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়-ক্ষমতা আর প্রতিপত্তির যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাঝে মানুষের ভারসাম্য, ন্যায়, ইনসাফ করা অপরিহার্য। নতুবা মহান রব তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেন দুনিয়া ও আখিরাতে। মহান রব আমাদের ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের অধীনে বসবাস করার তাওফিক দান করুন, আমিন!