মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এটা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও কৃপা। শুধু সৃষ্টির সেরা বানিয়েছেন তা নয়। সৃষ্টি করেছেন উত্তম গঠন-আকৃতি ও আকর্ষণীয় অবয়বে। দান করেছেন সুস্থ আকল ও জ্ঞান বুদ্ধি।
পবিত্র কালামে আল্লাহতায়ালা বলেন-নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম গঠনে। (সূরা-৪)। রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। নবিজি (সা.)-এর উত্তম চরিত্র সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা বলেন-এবং নিঃসন্দেহে আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী। (সূরা কলম-৪)।
মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তার শরীরে। তবে তার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য হলো তার চরিত্র বা আচার ব্যবহারে। শুধু চেহারার রূপ-লাবণ্যে মানুষ কখনো শ্রেষ্ঠ হতে পারে না। যার আখলাক বা স্বভাব চরিত্র যত উন্নত ও অমায়িক সেই আল্লাহর কাছে এবং দুনিয়ার মানুষের কাছেও তত সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র।
হজরত উসামা ইবনু শারিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবি কারিম (সা.)-এর কাছে এমনভাবে বসে ছিলাম মনে হয় আমাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে। আমাদের কেউই কোনো কথা বলছিল না। হঠাৎ কিছু মানুষ এলো এবং বলল, আল্লাহর কাছে কোন বান্দা সবচেয়ে প্রিয়? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, যে সবচেয়ে বেশি চরিত্রবান (সে-ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় বান্দা)। (সিলসিলা সহিহা, ১৩)।
মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করা অতি প্রশংসনীয় গুণ। একটু হাসিমুখে কথা বলা। ঝগড়াঝাঁটি এড়িয়ে চলা। এগুলো খুবই দামি আমল। বাহ্যত দৃষ্টিতে হালকা মনে হলেও হাশরের ময়দানে আমলের বাটখারায় তা খুবই ওজন হবে।
হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত আবু দারদা (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, মিজানে (কিয়ামত দিবসে পাপ-পুণ্য মাপার পাল্লায়) সর্বাপেক্ষা ভারী বস্তু হলো, উত্তম চরিত্র। (সিলসিলা সহিহা-৯)।