জুমাবারে কেন পড়বেন সূরা কাহাফ
মাহমুদুল হাসান সুমন
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
হাদিস শরিফে জুমার দিন ও সূরা কাহাফের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এ ফজিলত পূর্ববর্তী অন্য নবির উম্মতেরা পায়নি যা শেষ নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত হিসাবে আমরা পেয়েছি। জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসাবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজা : ১০৮৪)। জুমার দিন যেমন ফজিলত পূর্ণ তেমনি এ দিনে আছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত। সূরা কাহাফ পবিত্র কুরআনের ১৮নং সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। নিয়মিত এ সূরা তেলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে। বিশেষ করে জুমার দিন এ সূরা তেলাওয়াতের ফজিলত অনেক বেশি।
রুহুল মাআনিতে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, সূরা কাহাফ সম্পূর্ণ একসঙ্গে নাজিল হয়েছে এবং এর সঙ্গে সত্তর হাজার ফেরেশতা আগমন করেছেন। এতে বোঝা যায় সূরা কাহাফের মহত্ব অনেক বেশি। যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার নুর এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে (মিশকাত ২১৭৫)। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে হেফাজত থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)।
যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা থেকে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নুর হবে। (সহিহ তারগিব ওয়াৎ তারহিব-৭৩৬)। জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করিলে কিয়ামত দিবসে তার পায়ের নিচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নুর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগিব ওয়াল তারহিব-১/২৯৮)।
হজরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিল। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতঃপর সকালে ওই ব্যক্তি নবিজি (সা.)-এর কাছে গিয়ে রাতের ঘটনা বললেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত), যা কুরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (সহিহ বুখারি : ৫০১১, ৩৬১৪; সহিহ মুসলিম: ৭৯৫)।