Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

অল্প আমল অধিক সওয়াব

এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব

ফরজ ইবাদতের বাইরে নফল ইবাদতের সুযোগ হয় না খুব একটা। তবে কিছু কিছু আমল আছে যা সহজেই করা যায়, কিন্তু এতে অনেক বেশি সওয়াব হয়। এমন একটি আমল হলো, সূরা ইখলাস পাঠ।

এ সূরার আয়াত সংখ্যা মাত্র চারটি। সূরা কাওসারের পর ইখলাসই সবচেয়ে ছোট সূরা। এ সূরার অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয় (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)। রাসূল (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন।

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তার দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন (বোখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সূরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে নবি (সা.)কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবি (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সূরা কুরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান (বোখারি : ৫০১৩)।’ অর্থাৎ এ সূরা একবার পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন খতমের সওয়াব মিলবে।

তিনবার পাঠ করলে পুরো কুরআন পাঠের সওয়াব মিলবে। সূরা ইখলাস জান্নাত লাভের কারণ হবে। নবি (সা.)-এর কাছে একবার এক সাহাবি এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আমি সূরা ইখলাসকে ভালোবাসি।’ তখন রাসূল (সা.) বলেন, ‘এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে’ (বোখারি : ৭৭৪)।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম