Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

ঐতিহ্যে ইসলাম

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া মসজিদ

Icon

আল আমিন ইসলাম নাসিম

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া মসজিদ

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া মসজিদ

মধ্যযুগে ভারতবর্ষে মুসলমানদের আগমনের মাধ্যমেই সাধারণত এ দেশে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটতে থাকে। এমনই সময়ে এ বঙ্গ প্রদেশে মুসলিমদের আবাসস্থল গড়ে ওঠে এবং দিনে দিনে এখানে নানা স্থাপত্যসহ গড়ে উঠছে সুন্দর ও আকর্ষণীয় অগণিত মসজিদ। কুষ্টিয়া জেলাতে অবস্থিত ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নজির। জেলা সদরের ঝাউদিয়া গ্রামে মসজিদটির অবস্থান হওয়ায় এটাকে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ নামে ডাকা হয়। জনশ্রুতিতে আছে ইরাকের শাহ সুফি আদারি মিয়া ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আস্তানা তৈরি করেন ও তিনিই এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের ধারণা মসজিদের পাশেই সুফি আদারি মিয়া শায়িত হয়েছেন।

ঝাউদিয়া মসজিদের প্রবেশ মুখে লেখা আছে ‘এটির বড় পরিচয় মানুষের তৈরি এবং এটা প্রতিষ্ঠিত হয় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে’; কিন্তু ওই সময় কে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিল সে বিষয়ের কোনো উল্লেখ নেই। স্থানীয়রাও এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না। ইতিহাসবিদদের মতে, মসজিদের নির্মাণকাল বিষয়ে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে এ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। কারণ মুঘল আমলে নির্মিত অন্যান্য স্থাপনার সঙ্গে এ মসজিদের নির্মাণশৈলীতে অনেক সামঞ্জস্য লক্ষ করা যায়। মুঘল স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ নির্মিত। মুঘল আমলের বেশিরভাগ স্থাপনার মতো এ মসজিদেও লাল জাফরি ইট ব্যবহার হয়েছে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকাল হিসাব করলে এ মসজিদের বয়স আনুমানিক ৩৫০ বছর।

১৯৬৯ সালে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাতে নথিভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মসজিদটি সরাসরিই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিচালনা ও দেখাশোনা করে থাকে। ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের সুদৃশ্য পাঁচটি গম্বুজ রয়েছে। চার কোনায় আছে চারটি নান্দনিক মিনার এবং ভেতরে প্রবেশ দরজায়ও দুটি মিনার রয়েছে। এটি অপূর্ব শৈল্পিক কারুকাজসংবলিত একটি স্থাপনা, যা সহজেই মুগ্ধ করে সবাইকে।

বর্তমানে এটি কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত মসজিদগুলোর মধ্যে ইতিহ্যবাহী একটি। প্রতিদিন এখানে শতশত দর্শনার্থী ভিড় করে থাকেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম