মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রমজান এলেই বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে একদল মানুষ। পণ্য মজুত রাখে। তাদের এই কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। নিকৃষ্ট অপরাধ। তাদের পরিণাম ভালো নয়। আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন-যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করে জুলুম করতে চায়, আমি তাকে বেদনাদায়ক শাস্তি দেব। এক অর্থে তারা অভিশপ্ত। দরিদ্রতা তাদের পিছু ছাড়বে না।
হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি করিম (সা.) বলেন কেউ যদি খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম উপায়ে সংকট তৈরি করে আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দিয়ে শাস্তি দেবেন। (ইবনে মাজা-২/৭২৯)। নবি করিম (সা.) বলেন সুবোধ ব্যবসায়ী রিজিকপ্রাপ্ত হয় আর পণ্য মজুতকারী অভিশপ্ত হয়। (ইবনে মাজা ২/৪২৮)।
অপর এক হাদিসে নবি করিম (সা.) বলেন; যে ব্যক্তি (কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর জন্য) ৪০ দিন পর্যন্ত কোনো জিনিস গুদামজাত করে রাখবে, তার এত গুনাহ হবে যে, এই সমুদয় সম্পদ দান করে দিলেও তার গুনাহ মাফের জন্য যথেষ্ট হবে না ( মিশকাত ২৭৭২)। অপর এক হাদিসে বলা হয়েছে রাসূল (সা.)- বলেন; যে ব্যক্তি ৪০ দিন খাদ্য মজুত রাখল সে আল্লাহ থেকে নিঃসম্পর্ক হয়ে গেল। আল্লাহও নিঃসম্পর্ক হয়ে গেলেন তার থেকে। (মুসনাদে আহমদ-৮/৪৮১)।
নবি করিম (সা.) এমন চরম সতর্ক বাণী তাদের কানে কী পৌঁছে না। বান্দা যদি আল্লাহ থেকে নিঃসম্পর্ক হয়েই যায়। তাহলে তার আর কী থাকল? সে কি সব হারিয়ে ফেলল না?
ব্যবসা করতে নিষেধ নেই। তবে তা সীমার মধ্যে হতে হবে। সততার সঙ্গে হতে হবে। অন্যথায় পরকালে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। নবি করিম (সা.) বলেন কিয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা মহা অপরাধী হিসাবে উত্থিত হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করবে, নেকভাবে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করবে তারা ছাড়া। তাই যারা, যাদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি তারা সত্তর সুপথে ফিরবেন। এটাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।