বিয়ের তিন মাস না যেতেই ইদ্রিস সাহেব বুঝতে শুরু করলেন সংসার কী জিনিস! সেই বিয়ের রাত থেকে জার্নি আরম্ভ! আজ এটা লাগবে তো, কাল ওটা। মোটকথা প্রতিদিন কিছু না কিছুর লিস্ট থাকবেই! সংসারের এসব ঝাক্কিঝামেলা সহ্য করার যেন এক মহাচ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ইদ্রিস সাহেব। তার বউ সংসারের ভারী কাজ করতে রাজি নয়; রাইস কুকারে ভাত আর কারি কুকারে তরকারি রান্না করতে চায়। মাঝে মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিজে নিজেই ভাবেন, আজকালকার নারীরা এত আলসে কেন! ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তির আসবাবপত্র নারীদের কত অলস করে দিল!
নিজের কথাগুলো নিজের পেটেই জমিয়ে রাখেন ইদ্রিস সাহেব; বলতে পারেন না কাউকেই! আহারে সব সংসারী পুরুষেরই বুঝি এ অবস্থা!
ভাবতে ভাবতেই বউ এসে সামনে হাজির। মুখ ঝামটা মেরে বলল, ‘তোমাকে কতবার বললাম বাসায় ব্ল্যান্ডার নেই; একটি ব্ল্যান্ডার মেশিন থাকলে কত রকম সুবিধা।’
ইদ্রিস সাহেব অনেকটা সাহস করে বললেন, ‘ব্ল্যান্ডার ছাড়া কি আমার মা-চাচিদের দিন যায়নি? আচ্ছা বাদ দাও, এখন বলো, তোমার ব্ল্যান্ডারের প্রয়োজনীয়তা কি জুস করার সুবিধার্তে? নাকি মরিচ-মসলা গুঁড়ো করার সুবিধার্তে?’
শুনে ইদ্রিস সাহেবের বউ বলল, ‘এসব তুমি বুঝবে না। আরও অনেক সুবিধা আছে। এলোমেলো কিছু করলে ব্ল্যান্ডারে তোমার হাত-পা গুঁড়ো করার সুবিধাও আছে!’
ইদ্রিস সাহেব বিস্মিত চোখে বউয়ের মুখের দিকে তাকিয় বললেন, ‘আচ্ছা, আজ অফিস থেকে ফেরার পথে দামি একটা ব্ল্যান্ডার মেশিন নিয়ে আসব।’