মলাট বৃত্তান্ত
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়
থানার এক এসআই বলেছেন, এসপি নেয় ১০ লাখ আমি নেই ১ কোটি! কী বুঝলেন? * হে হে হে...এ তো দেখি বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়!

মো. রায়হান কবির
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাড়ির বড় মেয়েকে দেখতে আসছে পাত্রপক্ষ, চারদিকে সাজসাজ রব। পাত্রীর বাবা আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখেননি। পাত্রপক্ষের যাতে শুধু মেয়ে না, সব কিছুই পছন্দ হয় সে ব্যবস্থা করেছেন। অল্প কিছুক্ষণ পরই পাত্রপক্ষের আগমন ঘটবে।
ফোরকান আলী সবাইকে শেষ বারের মতো ব্রিফ করছেন, ‘শোনো, পাত্রকে গুরুত্ব দেবে এতে কোনো সন্দেহ নাই, কিন্তু পাত্রের সঙ্গে যদি তার কোনো বন্ধু বা ছোট ভাই আসে তাকে গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি! কারণ, মোস্ট অব দ্য কেসেস, এরাই ভেজাল লাগায় বেশি!’
সুতরাং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলো। এতে ফলাফলও হাতেনাতে পাওয়া গেল। কারণ যেসব ‘সাইড ক্যারেক্টার’ ডিস্টার্ব করবে, তাদের আগেই ম্যানেজ করা হয়েছিল। ফলে বিয়ের আয়োজন সুন্দরভাবেই শেষ করা গেছে।
ঠিক এই স্টাইলেই যেন চলতে অভ্যস্ত আমরা। অর্থাৎ এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রের চেয়ে পার্শ্ব চরিত্রের তাপ বেশি। এখানে ড্রাইভারের থলেতে শত কোটি পাওয়া যায়, অথচ সেই ড্রাইভারের প্যাসেঞ্জার হয়তো শত লাখও চোখে দেখেনি। যে দেশে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে নার্স সিজার করে ফেলে, সে দেশে পার্শ্ব চরিত্র আর পার্শ্ব থাকে না। তাই তো এসপির চেয়ে অনেক সময় এসআই এদেশে বেশি পাওয়ারফুল। টেকনাফ থানার এসআই বদিউল সেজন্যই বেশ গর্বের সঙ্গে তার বসকে ‘এসপি-তেসপি’ বলতে পারেন। বুক ফুলিয়ে জানান, এসপি তেসপি মাসে ৫ থেকে ১০ লাখ পান কিন্তু উনি কোটির নিচে নেন না! ওনার ভয় ডর কিছুই নাই, আছে শুধু টাকা কামানোর নেশা। ওনারা ওনাদের উত্তরসূরিদের অনুসরণ করেই টাকার পাহার গড়তে চান। এদেরকে ঠেকাবে কে? কারণ এরা তো তাদের ওপরের কাউকেই গোনায় ধরেন না। আর নিচের লোক তো নস্যি। অবস্থা এমন হয়েছে, এই এসআইদের থামাতে হয়তো এআই লাগবে ভবিষ্যতে!