বিচ্ছুর দপ্তরে লেখক-কার্টুনিস্টদের আনন্দ আড্ডা
বিচ্ছুবেদক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুগান্তরের রম্য ও বিদ্রুপ সাময়িকী বিচ্ছুর ১০০০তম সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক আনন্দ আড্ডার আয়োজন করা হয় যুগান্তর কার্যালয়ে। ১৫ই নভেম্বর শুক্রবার বিকালে বিচ্ছুর নিয়মিত লেখক ও কার্টুনিস্টদের আড্ডায় মুখরিত হয়ে ওঠে যুগান্তরের সভাকক্ষ।
শুরুতেই হাজির হন বিচ্ছুর নিয়মিত লেখক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সঙ্গে লেখক রিয়াজুল আলম শাওন। এসেই দুজন বললেন, ‘খালি মুখে কথা নাই।’
জবাবে বিচ্ছুর বিভাগীয় সম্পাদক খাবারের আশ্বাস দিতেই দুজনের মুখে কথার খই ফুটতে শুরু করে। এর পরপরই হাজির বিচ্ছুর জেন্টেলম্যান ছড়াকার সালাম ফারুক। আড্ডা জমে উঠতেই যোগ দেন বিচ্ছুর পুরোনো প্রদায়ক মেজবাহ মুকুল ও সজীব রায়। ধীরে ধীরে জমাট বাঁধতে শুরু করে আড্ডা। একটু বাদেই হাজির হন বিচ্ছুর আরেক কার্টুনিস্ট চিত্রশিল্পী মাজাহারুল ইসলাম পাটোয়ারী। যিনি একই সঙ্গে কার্টুনিস্ট কচি নামেও পরিচিত। এভাবেই একের পর এক দখল হতে থাকে যুগান্তরের সভাকক্ষের চেয়ারগুলো। আনন্দ আড্ডার মাঝামাঝিতে উপস্থিত হন জনপ্রিয় লেখক ও ছড়াকার রাহাত রাস্তি। সঙ্গে ভোজনরসিক রম্যলেখক মেহেদী আল মাহমুদ।
১০০০তম সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষ্যে আড্ডায় অংশ নিয়ে বিচ্ছুর লেখক ও কার্টুনিস্টরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। বিচ্ছুর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে তারা বলেন, ‘বিচ্ছু এভাবেই একের পর এক মাইলফলক সংখ্যা অতিক্রম করুক।’ সেসঙ্গে এমন আনন্দ আড্ডা এখন থেকে যেন নিয়মিত হয়, একবাক্যে সে দাবিও তোলেন সবাই।
এ আনন্দ আড্ডার মধ্যমণি হয়ে উপস্থিত ছিলেন যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম। তিনি বলেন, ‘দুই যুগ আগে বিচ্ছুর জন্ম। যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বিচ্ছু নামটি দেন। আজকের এ আনন্দ আড্ডায় তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। মানুষ মূলত হাসতে চায়। আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা রকম হাসি। সুখের হাসি যেমন আছে, তেমনি আছে দুঃখের হাসিও। মানুষ সুখের হাসিই হাসতে চায়। তবে না চাইলেও কখনো কখনো দুঃখের হাসিও হাসতে হয়। আসলে প্রযুক্তির এ সময়ে ক্রমশ মানুষ নিঃসঙ্গ হয়ে উঠছে। মানুষের সুকুমার বৃত্তির জায়গাগুলো সংকুচিত হয়ে আসছে। বিচ্ছু এই অস্থির সময়েও টিকে আছে এটি একটি বড় বিষয়। বিচ্ছুর ১০০০তম সংখ্যা প্রকাশ নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। বিচ্ছুর প্রয়োজন আসলে কখনো ফুরাবার নয়। একটু টোকা দিতে, একটু খোঁচা দিতে, একটু ধাক্কা দিতে বিচ্ছুর প্রয়োজন। বিচ্ছু আছে, বিচ্ছু থাকবে।’
১০০০তম সংখ্যা উদযাপনের এ আনন্দ আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান আসিফ রশিদ, ফিচার ইনচার্জ সেলিম কামাল, জ্যৈষ্ঠ সহ সম্পাদক হিমেল চৌধুরী, সহ সম্পাদক তোফায়েল গাজালি, সিনিয়র কার্টুনিস্ট কাওছার মাহমুদ এবং বিচ্ছুর বিভাগীয় সম্পাদক ইমন চৌধুরী। সব শেষে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বিচ্ছুর লেখক ও কার্টুনিস্টদের সঙ্গে নিয়ে ১০০০তম সংখ্যার কেক কেটে আনন্দ আড্ডার ইতি টানেন। তারপরও যেন ফুরাতে চায় না আড্ডা। আর একটু, আর কিছুক্ষণ-এভাবেই বিচ্ছুর লেখক এবং কার্টুনিস্টরা আনন্দ আড্ডায় যুগান্তরের সভাকক্ষ মাতিয়ে রাখেন আরও বেশ কিছুক্ষণ। সবশেষে নতুন আড্ডায় আবারও দেখা করার প্রত্যয় নিয়ে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নেন সবাই।