প্রথম বন্ধু : জানিস, জো বাইডেন আমার আপন মামা।
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই নাকি! তা আগে বলিসনি তো?
প্রথম বন্ধু : আপন বলতে মায়ের আপন চাচাতো ভাই আর কি!
দ্বিতীয় বন্ধু : আর রাশিয়ার পুতিন তোর কী হয়?
প্রথম বন্ধু : আমার কিছু হয় না। তবে আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি!
দ্বিতীয় বন্ধু : পুতিন সত্যিই তোর বাবার বন্ধু?
প্রথম বন্ধু : আরে বাবার সঙ্গে প্রায়ই তার দেখা হয়।
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই, তোর বাবার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়?
প্রথম বন্ধু : আরে দেখা হয় মানে বাবা তাকে প্রায়ই টিভিতে দেখেন!
প্রথম ব্যক্তি : ভেবেছিলাম সন্তানদের দিয়ে বংশ থেকে ‘ফেল’ শব্দটা তাড়াব। তা আর হলো না ভাই।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : কেন ভাই? কী হয়েছে?
প্রথম ব্যক্তি : আর বলবেন না, আমাদের বংশের সবার সঙ্গে ‘ফেল’ শব্দটা জড়িয়ে আছে।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : কেমন করে বলুন তো?
প্রথম ব্যক্তি : আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন গাড়ির ব্রেকফেল করে। খবরটা শুনে মা হার্টফেল করলেন। আর আমার ছোট চাচা পাহাড়ে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। আমার মেয়েটা গতবার করল এইচএসসিতে ফেল। আর ছেলেটা এবার এসএসসিতে ফেল করে বসল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : তা আপনার নিজের সঙ্গে ফেল শব্দটা কেমন করে জড়িয়ে গেল?
প্রথম ব্যক্তি : আরে ভাই, আমার স্ত্রী তো একটা রাইফেল। কথা বললেই মুখ দিয়ে যেন গুলি ছোড়ে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমার নামই নওফেল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : ভাই কিছু মনে করবেন না, আপনার কাছে একটা র্যাফেল ড্রর টিকিট বিক্রি করতে চাই! মাত্র ১০০ টাকা দাম।
প্রথম বন্ধু : আমার বাবা এতই মোটা যে, ক্রিকেট খেলা দেখার সময় বাবা যখন টিভির সামনে দিয়ে হেঁটে যান তখন দু-একটা বল মিস করে ফেলি।
দ্বিতীয় বন্ধু : আর আমার বাবা এতই মোটা যে কোনো ব্রিজে হাঁটতে গেলে টোল প্লাজার লোকজন তার কাছে টোল দাবি করে বসে!
গ্রন্থনা : রাফিয়া আক্তার