হোজ্জার স্ত্রী একসময় খুব দজ্জাল আর ঝগড়াটে ছিলেন। হোজ্জা দু’চোখে দেখতে পারতেন না। কী করে স্বামীকে জব্দ করবেন, সবসময় এ চিন্তায় মগ্ন থাকেন।
একদিন হোজ্জাকে খুব ঠকাবেন বলে মনে মনে ফন্দি আঁটলেন। সেইমতো গিন্নী ফুটন্ত সুরুয়া এনে হোজ্জার সামনে রাখলেন, স্বামীর জিভ পুড়ে তাকে জব্দ করবেন বলে। কিন্তু ভুলে তিনি নিজেই সুরুয়ায় দিয়ে ফেললেন লম্বা এক চুমুক। ফুটন্ত সুরুয়ার ছ্যাঁকা খেয়ে তার চোখে জল চলে এলো।
গিন্নীর চোখে জল দেখে হোজ্জা বললেন, ‘হলোটা কী? কাঁদছ কেন? সুরুয়া খেয়ে তোমার কান্না দেখলে লোকে বলবে কী?’
শুনে গিন্নী বললেন, ‘মা মারা যাওয়ার ঠিক আগে আমার হাতে সুরুয়া খেয়েছিলেন, আহা! সেই কথাটা মনে পড়ে গেল বলেই চোখে জল!’
গিন্নীর কথা শুনে সুরুয়ায় চুমুক দিতেই হোজ্জার চোখ থেকেও জল বের হয়ে এলো। কারণ তখনো সুরুয়া খুব গরম ছিল।
এবার গিন্নী আকাশ থেকে পড়ার ভান করে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সে কী! তুমিও কাঁদছ নাকি?’
জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘তোমাকে জ্যান্ত রেখে তোমার মা চলে গেলেন, এটা কি খুব সুখের কথা? সে জন্যই তো আমার চোখেও জল চলে এলো।’ কথার প্যাঁচে দজ্জাল গিন্নী একেবারে চুপ মেরে গেলেন।