
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। গণহত্যার প্রতিবাদ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট ও শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান নেতারা। ওআইসিসহ সব সংস্থাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তারা সংহতিও প্রকাশ করেন।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেতারা বলেন, ইসরাইল যে গণহত্যা চালাচ্ছে-তা মানবতার চরম লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির পরিপন্থি। হামাসের সঙ্গে ইসরাইল পারছে না বলেই নিরীহ শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। অথচ জাতিসংঘসহ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। তারা বলেন, ইসরাইলের বর্বর হামলা দাজ্জালের আবির্ভাবের ইঙ্গিত দেয়। মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মুসলমান হিসাবে ফরজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ইসলামি দলগুলোর আন্দোলনে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই। বাংলাদেশের মতো অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। একই সঙ্গে ইসরাইলের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। দেশের যেসব ব্যবসায়ী ইসরাইলি পণ্য আমদানি করছেন, তাদের অনুরোধ করব-এ ব্যবসা থেকে দ্রুত সরে আসুন। কারণ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে গাজা ও রাফার মজলুম ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ইসরাইলের জায়নবাদী প্রকল্প এক ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী প্রকল্প। বছরের পর বছর ধরে তারা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন, দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে, তা মানব জাতির জন্য একটা কলঙ্ক। ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে বিশ্বের সব বিবেকবান মানুষকে আজ ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি শুধু আমাদের বাংলাদেশের নন, সারা দুনিয়ার শান্তিকামী মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে বিশ্বের দরবারে এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সোচ্চার হোন।
দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, বিশ্বের যত নিপীড়িত মানুষ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে নিপীড়িত হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণ। অথচ তাদের এ নিপীড়ন দেখেও না দেখার ভান করে তথাকথিত বিশ্ব বিবেক। জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে বারবার ইসরাইলের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা আটকানো হয়েছে। এ অগণতান্ত্রিক ভেটো ক্ষমতা বাতিল করতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় সদস্য অঞ্জন দাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আলীফ দেওয়ান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মাহবুব রতন, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিত চন্দ প্রমুখ।