Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সংস্কার প্রস্তাবের জবাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত

গণপরিষদ গণভোটে না সংবিধান সংস্কারে মত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো ১৬৬ সুপারিশ পর্যালোচনা করছে ৩৪টি রাজনৈতিক দল

শেখ মামুনুর রশীদ

শেখ মামুনুর রশীদ

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গণপরিষদ গণভোটে না সংবিধান সংস্কারে মত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপরিষদ গঠন ও গণভোটের প্রস্তাব একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তবে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারে কোনো আপত্তি নেই তাদের। বিষয়টি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো।

তারা বলছেন, সংবিধান সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এতটা তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই, এজন্য সময় আরও প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচিত সরকার। এর বাইরে নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত সুপারিশগুলোকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কারে সায় রয়েছে তাদের।

এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে দেশের দুই বড় দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। বিএনপি আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে গঠিন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যদিও তাদের প্রধান দাবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশে গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে গত ৬ মার্চ চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রতিবেদনে ১২০ পয়েন্টে সুনির্দিষ্ট মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।

মূলত সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবগুলোর ওপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পয়েন্টগুলো তৈরি করে জাতীয় ঐক্য কমিশন। চিঠিতে দলগুলোকে বৃহস্পতিবারের (১৩ মার্চ) মধ্যে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো জাতীয় ঐক্য কমিশনের চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ স্বাক্ষরিত ওই চিঠির সঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সুপারিশের ফাইল এবং মতামতের জন্য আলাদা স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন-সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।’

মতামত দেওয়ার সময়সীমা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দলই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চিঠির জবাব দেয়নি। দলগুলো বলছে, নিজেদের মধ্যে এবং সমমনাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারা লিখিত জবাব দেবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব সুপারিশের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-রাজনৈতিক ঐকমত্য ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব স্পষ্টীকরণ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা; একটি স্থায়ী জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে সীমিত করা; দুইবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য করা; একই ব্যক্তি একই সঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা।

জাতীয় সংসদের বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে-১০০টি আসন নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা; উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতিতে আসন বণ্টন; বিরোধী দলকে সংসদের ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া; সরাসরি ভোটে ৪০০ প্রতিনিধির সমন্বয়ে সংসদের নিম্নকক্ষ গঠন। যার মধ্যে নিম্নকক্ষের ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং সেগুলোতে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি ভোট করা; দলনিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা; জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন; জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা; নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করা; মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা ইত্যাদি।

সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশে দুই ক্ষেত্রে টিক দিয়ে মতামত চেয়েছে। প্রথমটিতে একমত, আংশিকভাবে একমত ও একমত নই-তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। এ তিনটি বিকল্পের যে কোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ছয়টি বিকল্প রেখে মতামত চাওয়া হয়েছে।

বিকল্পগুলো হলো-নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে, নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে, গণপরিষদের মাধ্যমে, নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এবং গণপরিষদ ও আইনসভা হিসাবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে। এখানে যে কোনো একটিতে টিক চিহ্নের মাধ্যমে মতামত জানাতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার জন্য একটি জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলছে, সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। এরপর একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে, সে সময় থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

কমিশন এ বিষয়ে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে-সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত ২৭টি, বিচার বিভাগসংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসনসংক্রান্ত ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে, তাদের সুপারিশগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই তাদের সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট, নির্বাচনের সময় গণভোট কিংবা গণপরিষদের যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি বাদে বাকি সব রাজনৈতিক দলের আপত্তি রয়েছে। তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মধ্যে যেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা যায়, তাতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এক্ষেত্রে গণভোট, গণপরিষদের যে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তা সন্দেহের চোখে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা মনে করছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও পেছানোর জন্যই এ ধরনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, তারা দু-একদিনের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চিঠির জবাব দেবেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষার খাতার প্রশ্নোত্তর পর্বের মতো টিকচিহ্ন দিয়ে কিছু বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। সংস্কারের মতো বড় বিষয়ে টিকচিহ্ন দিয়ে জবাব দেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি প্রয়োজনীয় সংস্কারে আপত্তি নেই। প্রয়োজনীয় সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু দেখছি সংস্কারের জন্য গণপরিষদ, গণভোট-এসব বিষয় অহেতুক সামনে এনে নতুন বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম প্রধান শরিক দল ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চিঠি পেয়েছি। এখনো জবাব দেইনি। দুই-তিনদিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেব। বিএনপির আরেক মিত্র ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও এলডিপির একাংশের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো প্রতিবেদন ও ছক আকারের চিঠিগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা পর্যালোচনা করেছি। সেখানে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১২০টি প্রশ্নের বিষয়ে টিকচিহ্ন দিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমাদের জোটের শরিকরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসাবে বিষয়টি আমাদের কাছে খুব একটা স্বস্তির মনে হয়নি। এজন্য আমরা জোটের পক্ষ থেকে মতামত জানানোর জন্য আরও সাত দিন সময় চেয়েছি।

সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশে গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রস্তাবগুলো করবেন তা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সেখান থেকে দেশের জনগণ জানতে পারবে কারা কী প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের সামনে সবার অবস্থান পরিষ্কার হবে। নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চাওয়া মাথায় রেখে বুঝে-শুনে নিজেদের মতামত দেবেন।

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া এবং প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাঠাব। সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা আগেই বলেছি, গণ-অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশে গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশে একমত হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা জুলাই সনদ। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানারও ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কার শুধু আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। এ সংস্কার প্রস্তাব আগামী দিনের বাংলাদেশের সনদ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের অন্যতম লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনা। এ লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে তারা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ছয়টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব কমিশনের প্রধানদের নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে এই কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম