হাসিনা পরিবারের বিপুল সম্পদ ক্রোক
১২৪ ব্যাংক হিসাবে ৬৩৭ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে জমা ৬৩৭ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ধানমন্ডির বাড়ি (সুধা সদন), বোন শেখ রেহানার গাজীপুরের জমি এবং তার সন্তান রাদওয়ান সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশানের ছয় ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পদ জব্দেরও (ক্রোক) আদেশ দেন আদালত। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের পাশাপাশি শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ৭ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। যদিও হাসিনা পরিবারের সবাই এখন বিদেশে অবস্থান করছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনা ছাড়াও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানা, তার দুই সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের কিছু সম্পত্তি জব্দেরও আদেশ এসেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অবরুদ্ধ তালিকায় শেখ হাসিনার ১৭টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক টুঙ্গিপাড়া শাখায় স্থিতির পরিমাণ ৬০ লাখ ৯ হাজার ৭৪৬ টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংক মতিঝিল করপোরেট শাখায় ১২ লাখ ৬১৫ টাকা, বেসিক ব্যাংক টুঙ্গিপাড়া শাখায় ১১ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৮ টাকা, অগ্রণী ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার যৌথ নামে খোলা হিসাবে ১ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার ৩৬০ টাকা এবং পূবালী ব্যাংক মতিঝিল করপোরেট শাখায় তাদের যৌথ নামের হিসাবে ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৩ টাকা জমা আছে। এর বাইরে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচটিসহ ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে আছে জয় ও পুতুলের নামে ষোলো কাঠা জমিসহ ধানমন্ডির বাড়ি (‘সুধা সদন’)। শেখ রেহানার নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক ইউনিয়নে দুই দলিলে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ জমি এবং ঢাকার সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলার ফ্ল্যাটও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেহানার মেয়ে টিউলিপের নামে গুলশান আবাসিক এলাকায় ইস্টার্ন হারমনি ভবনে একটি ফ্ল্যাট এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে গুলশানের নিকেতন এলাকায় এ ব্লকে ০২০১.১ শতাংশ ভূমির ওপর নির্মিত ৭ তলা ভবনও জব্দের তালিকায় আছে।
আদালতে দাখিল করা দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। তাই এসব সম্পত্তি জব্দের প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার স্বামী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম ছিল সুধা মিয়া। তার নামেই ধানমন্ডির বাড়ির নামকরণ করা হয় ‘সুধা সদন’। ১/১১ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই বাড়ি থেকেই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই বাড়িতে থেকেই তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয় বাসভবনে থেকেছেন। এরপর সুধা সদনে কিছুদিন আওয়ামী লীগের কিছু অফিস ছিল। পরে অবশ্য ভবনটি তালাবদ্ধই থাকত।
অন্যদিকে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগ থাকায় হাসিনা পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে গণ-অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত। নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাওয়া অন্যরা হলেন-শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার তিন ছেলেমেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেছেন, সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাটের একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এ অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৫ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা জানতে পেরেছেন, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশ পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। যদিও হাসিনা পরিবারের সবাই বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন।
১২৪টি ব্যাংক হিসাবের তালিকা : শেখ হাসিনা-পূবালী ব্যাংক, মতিঝিল করপোরেট শাখা ১,২০০,৬১৫ টাকা। পূবালী ব্যাংক, শেখ হাসিনা ও রেহানা সিদ্দিক-মতিঝিল করপোরেট শাখা ৪৪,৬৪,১৯৩ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-পূবালী ব্যাংক, মোহাম্মদপুর ৩৩৪,৩৫৩,৭৫৯ টাকা। শেখ হাসিনা-অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, টুঙ্গিপাড়া ৬০০৯,৭৪৬ টাকা। শেখ হাসিনা-অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, টুঙ্গিপাড়া ব্রাঞ্চ ১৬৮,১৬২ টাকা। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ-অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, টুঙ্গিপাড়া, ১৩৬,৮৮৩ টাকা। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ-অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১৫০ টাকা। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ও শেখ রেহানা-অগ্রণী ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১৬,১১৩,৩৬০ টাকা। শেখ হাসিনা-বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, টুঙ্গিপাড়া ১,৬৬৮,৪১৮ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-সিটি ব্যাংক পিএলসি, টুঙ্গিপাড়া ব্রাঞ্চ ২১২,৯৪৯,৯৯৯ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ, ধানমন্ডি ব্রাঞ্চ (০০৮), ৩৩৫,৪০৯,১৫০ টাকা।
ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ, ধানমন্ডি ব্রাঞ্চ (০০৮), ২৬৫,৭৫০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ, ১,৩৮১ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-আইএফআইসি ব্যাংক, ধানমন্ডি, ১৯,২৮৭,৮৯১ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-আইএফআইসি ব্যাংক, ধানমন্ডি, ১০০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-আইএফআইসি ব্যাংক, ধানমন্ডি, ১০০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-আইএফআইসি ব্যাংক, ধানমন্ডি, ৫০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-আইএফআইসি ব্যাংক, ধানমন্ডি, ৫০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন-আইএফআইসি ব্যাংক, ধানমন্ডি, ৩১,৫৫৭,১৮৮ টাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ২০৪,৬০১,৩৮১ টাকা। জনতা ব্যাংক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ১৮০,৯৮১,১৭০ টাকা। জনতা ব্যাংক, ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ৩৩৬,৬৭৮,৭৮৮ টাকা। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ১৮৩,৫৮৬,৩৪৪ টাকা। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ ১০,০০০,০০০। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ৮৯,৭৮৯,৬৭৪ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ২০০,০০০,০০০ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ৬৪,৭০০,০০০ টাকা। শেখ রাসেল অ্যান্ড বেবি মওদুদ-জনতা ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ, ৮,৮৭৯ টাকা।
রেহানা সিদ্দিক-জনতা ব্যাংক, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, - টাকা।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মেঘনা ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ, ৭৫,৯৮১ টাকা। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মেঘনা ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ, ১০০,০০০,০০০ টাকা। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মেঘনা ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ, ৪৫,৯৪৭,৯২০ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মেঘনা ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১০,৭৩০,৭৫০। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মেঘনা ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১৫০,০০০,০০০। ফাদার অব ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ধানমন্ডি, ৩১,১৭৪,৭৭১ টাকা। ফাদার অব ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ধানমন্ডি, ১৭১,৬৭৪,২৫০। ফাদার অব ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ধানমন্ডি, ১০০,০০০,০০০। ফাদার অব ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ধানমন্ডি, ৩০,০০০,০০০। শেখ হাসিনা-নগদ লিমিটেড ৫ টাকা। রেহানা সিদ্দিক-নগদ লিমিটেড ৫ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট- দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ধানমন্ডি ৫৪,৭৯৫,৩৬০ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট- দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ধানমন্ডি ৪৬,১৩০,৫৩৪ টাকা। শেখ হাসিনা-রূপালী ব্যাংক, ঢাকা লেডিস ব্রাঞ্চ ১৭৯,৭৮৯ টাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-রূপালী ব্যাংক, ঢাকা লেডিস ব্রাঞ্চ, ৩৩৭,৩৯০,১২৫ টাকা। ফাদার অব ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, পান্থপথ ব্রাঞ্চ, ২১০,৭০৫,০০০ টাকা। শেখ হাসিনা-সীমান্ত ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১,১৭৩,১৭৪ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-সীমান্ত ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ৩৩২,৪৪২,০৮৮ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট- সীমান্ত ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ১৩৭,৩৩৫,৮২১ টাকা। ফাদার অক দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-সীমান্ত ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ৩১,০০০,৬৩২ টাকা। রেহানা সিদ্দিক-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ ৮,১০৫,৮২৯ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরএ- সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ ৩৩৫,৯৬৭,৪৫০ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট- সোনালী ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ ১৭৮,৪৫৪,৪৫৬ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট- সোনালী ব্যাংক, লালমাটিয়া ব্রাঞ্চ ৭০,২৮৪,১০৭ টাকা। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা-সোনালী ব্যাংক, জাতীয় সংসদ ভবন ব্রাঞ্চ ৪,৮১৮,৭০০ টাকা। শেখ হাসিনা এমপি-সোনালী ব্যাংক, জাতীয় সংসদ ভবন ব্রাঞ্চ - টাকা। শেখ হাসিনা-সোনালী ব্যাংক, প্রগতি ব্রাঞ্চ গোপালগঞ্জ - টাকা। শেখ হাসিনা-সোনালী ব্যাংক, টুঙ্গিপাড়া ব্রাঞ্চ, গোপালগঞ্জ ১,৯৭০,১৩৮ টাকা। মিসেস সায়মা ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, ওয়েজ আর্নার করপোরেট, ঢাকা ৯,৮৯০ টাকা। নসরুল হামিদ-সোনালী ব্যাংক, জাতীয় সংসদ ভবন ব্রাঞ্চ ১,২৩০,১৫৭ টাকা। সায়মা ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ১০,০৯১,০৮৩ টাকা। সায়মা ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ৫,০৭৯,৩৭৫ টাকা। সায়মা ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ৫০,৮৪,৩৭৫ টাকা। সায়মা ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ৭,৩৪১,১৩১ টাকা। রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ২,৭৬১,৯১৪ টাকা। রেদওয়ার মুজিব সিদ্দিক-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ৯,৯৯৫,০০০ টাকা। সজীব আহমেদ ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ১০,৯৯৫ টাকা। সজীব আহমেদ ওয়াজেদ-সোনালী ব্যাংক, গণভবন ব্রাঞ্চ, ঢাকা ১১,৭০৪,২৭৬ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ২২,২২৮,০৭৮ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট- ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ১৭,০৯৯,৪৭৫ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ২৬৪,৭৭৫,০০০ টাকা।
ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ২৯৯,৯৫০,০০০ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ১৮,২১৫,০০০ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়াম-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ৩২,৪১১,৮৮২ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়াম-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ১৯,৯৮০,০০০ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়াম-ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ব্রাঞ্চ ৪৯,৯৫০,০০০ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন-ট্রাস্ট ব্যাংক, মিলিনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ (ইসলামিক) ২৯,৫৯২,০০৮ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন (এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড)-ট্রাস্ট ব্যাংক মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ ১৪১,২৯৩ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন (ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট)-ট্রাস্ট ব্যাংক মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ ২,৯৮৬,৭৮৮ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন (সেলারি অ্যাকাউন্ট)-ট্রাস্ট ব্যাংক মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ ১১,২৮৮,৭০২ টাকা। এসএফ-সাপোর্টেড এমপ্লয়মেন্ট প্রজেক্ট- ট্রাস্ট ব্যাংক মিলেনিয়াম করপোরেট শাখা ৭,৩৭০,৩২৪ টাকা। সূচনা ফাউন্ডেশন-ট্রাস্ট ব্যাংক, মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ টাকা। এমডি আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ ১,০০০,০০০ টাকা। এমডি আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ ৫০০,০০০ টাকা। রিসার্চ অন এসসিইএসডি মেনুয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, মিলেনিয়াম করপোরেট ব্রাঞ্চ ১,৫৭৩,৪৩৩ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- নির্বাচনি ২০০৮ তহবিল- ট্রাস্ট ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ ২৭,১১৫,৯১৯ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-ট্রাস্ট ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ ১২,৬৪২,৫৬০ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-নির্বাচনি ২০০৮ তহবিল-ট্রাস্ট ব্যাংক, ধানমন্ডি করপোরেট ব্রাঞ্চ ১২,৬৪২,৫৬০ টাকা। শেখ হাসিনা-ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিন্সিপাল শাখা ৯৬১,৬২৫ টাকা।
শফিক আহমেদ সিদ্দিক-ট্রাস্ট ব্যাংক, গুলশান করপোরেট ব্রাঞ্চ ১,৫৮,৯৫০ টাকা। থেমস ইন্ডাস্ট্রি-ট্রাস্ট ব্যাংক-গুলশান করপোরেট ব্রাঞ্চ ২৯১,৫৫৬ টাকা। এমডি আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক- গুলশান করপোরেট ব্রাঞ্চ ৩,১০৭,৭৪৩ টাকা। এমডি আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক-গুলশান করপোরেট ব্রাঞ্চ ৫০০,০০০ টাকা। শাহীন সিদ্দিক-ট্রাস্ট ব্যাংক- প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১,৮৬২,৭৫৭ টাকা। বুশরা সিদ্দিক-ট্রাস্ট ব্যাংক- প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১,০০০,০০০ টাকা। বুশরা সিদ্দিক-ট্রাস্ট ব্যাংক-প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ১,২০৬,৯১৭ টাকা। এমডি আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চ ৫০০,০০০ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-ইউনিয়ন ব্যাংক- গুলশান শাখা ৯,৪২৭,২২৭ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-ইউনিয়ন ব্যাংক-গুলশান শাখা ১০,০০০,০০০ টাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-ইউনিয়ন ব্যাংক-গুলশান শাখা ১০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ৬,৫০৯,৬৭৬ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ১০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ১০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ১০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইউনিয়ন ব্যাংক-গুলশান শাখা ২০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ২০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরপি)-ইউনিয়ন ব্যাংক-গুলশান শাখা ৩০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরপি)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ৫০,০০০,০০০ টাকা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরপি)-ইউনিয়ন ব্যাংক, গুলশান শাখা ৫০,০০০,০০০ টাকা। শেখ হাসিনা ও রেহানা সিদ্দিকী-ইউনিয়ন ব্যাংক, করপোরেট ব্রাঞ্চ ১,৮১৮,৬০৯ টাকা। ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়াম-উত্তরা ব্যাংক, কলাবাগান ব্রাঞ্চ ৩০,০০০,০০০ টাকা। ১১১টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি ১৩টি হিসাবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য তালিকায় নেই।
দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগসংশ্লিষ্টরা তাদের অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। ফলে অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করা জরুরি। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন।