Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

নিউজিল্যান্ড না ভারত শিরোপা কার?

Icon

ইশতিয়াক সজীব

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নিউজিল্যান্ড না ভারত শিরোপা কার?

সংগৃহীত ছবি

তারকাখচিত দল, দুর্দান্ত ফর্ম, এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলার বাড়তি সুবিধা-সব মিলিয়ে পরিষ্কার ফেভারিট হিসাবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করেছিল ভারত। দুবাইয়ে চার ম্যাচের সবকটি জিতে ফেভারিটের মতোই তারা ফাইনালে উঠেছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে রোহিত শর্মাদের দাপট দেখে মনে হতে পারে, ভারতের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্যই বুঝি আইসিসির এত আয়োজন!

আজ দুবাইয়ে শিরোপার লড়াইয়ে আরেকবার ভারতের হৃদয় ভেঙে ধারণাটা ভুল প্রমাণ করতে পারে শুধু নিউজিল্যান্ড। মঞ্চটা ফাইনালের বলেই মহাশক্তিধর ভারতের বিপক্ষে কিউইদের জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়াটা হবে বোকামি। আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড তাদের ইতিহাসের দুটি শিরোপাই জিতেছে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে। অন্য দলগুলোর বিপক্ষে খেলা বাকি চার ফাইনালেই হেরেছে কিউইরা। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রবিবাসরীয় ফাইনালে ফেভারিট ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসাবে পেয়ে তাই অখুশি হওয়ার কথা নয় উইলিয়ামসনদের!

২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারতকে হারিয়েছিল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ড। এখন পর্যন্ত সেটি সাদা বলের ক্রিকেটে তাদের একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে ভারতকে হারিয়ে কিউইরা জিতে নেয় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের বিশ্বাস, যে কোনো কন্ডিশন ও উইকেটে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারার সক্ষমতা ফাইনালে তাদের জন্য সহায়ক হবে। দুবাইয়ের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক পাকিস্তানের তিন ভেন্যুতেই ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মন্থর উইকেটে হবে ফাইনাল। ফলে স্পিনের লড়াইয়ে আজ খুব বেশি পিছিয়ে রাখা যাবে না কিউইদেরও। তিন ম্যাচ পাকিস্তানে খেলার পরও চার ম্যাচে তাদের স্পিনাররা নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট। যেখানে চার ম্যাচই দুবাইয়ে খেলে ভারতের স্পিনাররা নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২১ উইকেট। গ্রুপপর্বের দেখায় বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনে নাকাল হয়ে ভারতের কাছে ৪৪ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া কিউই পেসার ম্যাট হেনরি চোট কাটিয়ে আজ খেলতে না পারলে স্পিনারদের দায়িত্ব আরও বাড়বে।

ফাইনালের চাপ সামলানোই আজ ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ফেভারিট হয়েও ঘরের মাঠে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। একইভাবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। তবে ২০২৪ টি ২০ বিশ্বকাপ জেতার পর ফাইনাল নিয়ে আর শঙ্কিত নন ভারতের সহঅধিনায়ক শুবমান গিল, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের হার থেকে আমরা শিখেছি বলেই ২০২৪ টি ২০ বিশ্বকাপ জিততে পেরেছি। এবার তাই আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই নামব। মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে। নিউজিল্যান্ড নিঃসন্দেহে শক্ত প্রতিপক্ষ। তারাও জিততে চাইবে। আমরা সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

এদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার উইল ইয়াং স্বপ্ন দেখছেন ২৫ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার। বলেছেন, ‘২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ড যেভাবে রাজত্ব করেছিল, তা ভালোভাবেই মনে আছে। আমার বয়স তখন আট বছর। ২৫ বছর পর সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ। গত কয়েক বছরে ভারতের বিপক্ষে জমজমাট কিছু ম্যাচ খেলেছি আমরা। তবে অতীতে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট দিনে জ্বলে ওঠাই এখানে সব কিছু।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম