বাংলাদেশে ইউএসএআইডির সহায়তা
২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে দুই সদস্যের প্রতিষ্ঠান: ট্রাম্প

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করতে মার্কিন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ‘ইউএসএআইডি’র ২৯ মিলিয়ন ডলার তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে যার নাম কেউই শোনেনি। কারা চেক পেয়েছেন। কল্পনা করতে পারেন!’
ট্রাম্প আরও বলেন, কারও একটা ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, ওখান থেকে ১০ হাজার ডলার করে পায়, আর এরপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে গেল! ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুজন লোক কাজ করেন! আমি মনে করি, তারা খুব খুশি, খুব ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে। তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতির জন্য আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের কাছে ২১ মিলিয়ন ডলার যাচ্ছে! আমাদের কী হবে? আমিও চাই ভোটার উপস্থিতি!
প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যয় সংকোচন দল ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ১১টি দেশের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাতিল হওয়া কয়েকটি বিদেশি প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট নাম তালিকাভুক্ত করে এক্স-এ পোস্ট করে। এ তালিকায় বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করার জন্য ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্প এবং ভারতে ভোটদানের উপস্থিতির জন্য আরেকটি প্রকল্প রয়েছে। তবে কারা বা কে এ সহায়তা পেয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ইউএসএআইডি ও ডিএফআইডির অর্থায়নে স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল) কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা তৈরি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানোর পাশাপাশি দল ও সংগঠকদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।