অপারেশনের দ্বিতীয় দিন
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ৩৪৬ ডেভিল গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সারা দেশে একযুগে চলছে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট। একে একে ধরা পড়ছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা, যা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে পুলিশ সদর দপ্তরে স্থাপিত সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার। এই অপারেশনে ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ৩৪৬ ডেভিলকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নেতা এবং সাবেক সংসদ-সদস্যও (এমপি)। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছিলেন।
আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক সংসদ-সদস্য চয়ন ইসলাম। সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে দুবারের সংসদ-সদস্য। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্যও তিনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তার প্রথম স্ত্রী লিলি ইসলামের বাবার বাড়ি ভারতে। এলাকাবাসীর ধারণা ছিল চয়ন ইসলাম ভারতে চলে গেছেন। তবে তিনি ভারতে না পালিয়ে দেশেই আত্মগোপন করেন। গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মিলনের বাড়িতে দুই মাস আগে স্ত্রীসহ অবস্থান নেন। অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর দ্বিতীয় দিনে রোববার রাতে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আরও ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
একই রাতে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনুকে। জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেক নেতার সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক ছিল এই আনুর। এছাড়া একই রাতে সিলেটে ডেভিল হান্টের অপারেশনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অয়ন দাশকে সিলেটের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুধু তারা তিনজনই নন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক সংসদ-সদস্য, নেতা থেকে শুরু করে কোনো ডেভিলই রক্ষা পাচ্ছে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ডেভিলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ রোববার বিকাল ৪টা থেকে সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে বিশেষ অভিযানের বাইরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ১ হাজার ১৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরের শিকার হন ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভায় এ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ বাহিনী দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করেছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রোববার জানানো হয়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরুর পর শনিবার রাত থেকে রোববার বিকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীর সমন্বয়ে সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে এ সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এ সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার থেকে। আর সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টারের ওপর নজর রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মূলত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নানাভাবে চেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া, যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু এবং সর্বশেষ অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মব ভায়োলেন্সের মতো ঘটনা। এ অবস্থায় অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর পাশাপাশি সব বাহিনীর সমন্বয়ে সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার নামে একটি নতুন উদ্যোগ নেয় সরকার। এ সেন্টারে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আর্মড ফোর্সসহ প্রত্যেক বাহিনীর প্রতিনিধি অবস্থান করে নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
যুগান্তর প্রতিবেদন, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম, লোহাগাড়া ও আনোয়ারা : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-(সিএমপি) ১৬ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চৌধুরী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উপজেলা দপ্তর সম্পাদক আরফাতুর রহমান আদরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে
আনোয়ারা উপজেলার সাবেক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীনকে।
রংপুর : অপারেশন ডেভিল হান্টে রংপুর মহানগরীতে ছয় এবং বিভাগের আট জেলা থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে পরিচালনা করছি। রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতাররা সবাই আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
খুলনা : নগরীর বাইপাস সড়কের মিঠু মোটরস গ্যারেজের সামনে থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ইনসান শরীফ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম, পূর্ব, কাশিমপুর-কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : টঙ্গীতে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাশিমপুরে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ। এ ছাড়া কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আড়াইহাজার ও সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের চার নেতাকে আড়াইহাজারের বিশনন্দী ফেরিঘাট এলাকা থেকে এবং অপর ৯ অপরাধীকে বিভিন্ন অপরাধের কারণে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। সিদ্ধিরগঞ্জে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যশোর : আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাগেরহাট ও মোংলা : কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পাইপগান ও ১৬টি দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারদের মধ্যে অন্যতম হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার ফররুল আলম সাহেব, মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী হাওলাদার প্রমুখ।
নেত্রকোনা : ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ারা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
বরিশাল : নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সাত পয়েন্টে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন-বরিশাল মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন সুমা ও বিমানবন্দর থানার আওয়ামী লীগ নেতা কিতাব আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার।
ভোলা : জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের ভোলা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ছয়জনকেই দীঘিনালার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : সিংগাইরে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিংগাইর থানার পুলিশ।
সুনামগঞ্জ ও জামালগঞ্জ : জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাউফল (পটুয়াখালী) : বাউফল পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হাওলাদারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
রাজশাহী : রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেফতাররা হলেন-রাজশাহীর হড়গ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি নয়ন শেখ, আওয়ামী লীগের কর্মী মো. হানিফ, সাব্বির আহমেদ ও রহিদুল ইসলাম বিশাল।
দুমকি দ. (পটুয়াখালী) : দুমকিতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা : শ্যামনগরের চকবারা বাজার এলাকা থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন বনদস্যু আব্দুল হাকিম গাজী ও তার ছেলে মো. হাফিজুর রহমান গাজী।
শেরপুর : নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা মাহমুদুল হাসান রুবেল ও রফিকুল ইসলাম এবং জেলা ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী ও শেরপুর সদর থানা পুলিশ।
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) : বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. ফয়জুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তাগাছা, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : মুক্তাগাছায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভালুকায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা থানা পুলিশ। ঈশ্বরগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ফুলপুর থানা পুলিশ কাড়াহা গ্রামের শিক্ষক সোহানুর রহমান তুলা ও সিংহেশ্বর ইউপি সদস্য তুলা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
সিংড়া (নাটোর) : সিংড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার পৃথক দুটি জায়গা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শেরপুর (বগুড়া) : শেরপুরে উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম আইয়ুব খান ও খামারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান নান্নুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : দেওয়ানগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : ফুলবাড়ীতে সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের প্রভাষক শংকর কুমার সেনসহ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ রেজা উদ্দিন আহমদ দুলাল ও আওয়ামী লীগ নেতা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপুরের মো. শরিফ উদ্দিন।
হাতিয়া ও সেনবাগ (নোয়াখালী) : হাতিয়ায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও সেনবাগ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম দিদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা ও নাঙ্গলকোট : বুড়িচং থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করেছে। নাঙ্গলকোটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম : গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলায় সহায়তাকারী ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসাবে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন-শরীফুল ইসলাম তরুন (কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান), বদরুজ্জামান খান (মুক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি) ও আব্দুল গনি ভূঁইয়া (কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি)।