সম্পাদকের কথা
যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ
আবদুল হাই শিকদার
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেখতে দেখতে রজতজয়ন্তী হয়ে ২৬-এ প্রবেশ করল যুগান্তর। ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে, এই আনন্দঘন সময়ে, আমরা যুগান্তর পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সব শুভাকাঙ্ক্ষী, হিতাকাঙ্ক্ষীর প্রতি জানাই অন্তরের অন্তস্তল থেকে উৎসারিত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে উদ্বেল হয়ে ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’-এই প্রত্যয় বুকে ধারণ করে, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সৎসাহস নিয়ে যুগান্তরের জন্ম দিয়েছিলেন স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। আজ তার স্মৃতির প্রতি জানাই অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা।
বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক বয়সি যুগান্তরের এই দীর্ঘ পথযাত্রা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ছিল কণ্টকাকীর্ণ, ছিল নানা চড়াই-উতরাই, কত বাধা কত সমুদ্র পর্বত। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে, জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষেত্রে যুগান্তর পালন করেছে আপসহীন ভূমিকা। কোনো রক্তচক্ষুর পরোয়া করেনি।
কারণ যুগান্তরের কাছে সবার উপরে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থ। যা কিছু দেশের জন্য, জাতির জন্য ক্ষতিকর, অকল্যাণকর; তার বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষেত্রে যুগান্তর ছিল দ্বিধাহীন।
যুগান্তরের অন্তরাত্মায় জড়িয়ে আছে হাজার বছরের জাতীয় ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং জুলাই গণজাগরণের আকাঙ্ক্ষা। এ লক্ষ্য থেকে যুগান্তর কখনো সরে যাবে না।
নতুন পানিতে যে সফর আজ থেকে শুরু হলো যুগান্তরের, সেই সফর অতীতের চেয়ে হয়ে উঠুক আরও বেগবান ও প্রাণবন্ত। প্রতিটি দিন হয়ে উঠুক সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর। দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের প্রতি অঙ্গীকার ও ভালোবাসায় পল্লবিত হয়ে উঠুক আমাদের যাপিত জীবনের দশদিগন্ত।
আর জনগণের প্রত্যাশার যথার্থ প্রতিফলন ঘটুক যুগান্তরের পাতায় পাতায়। দিন শেষে এ জনগণই তো আমাদের ভরসার স্থল।
অগ্রযাত্রার এই শুভক্ষণে হাজার বছরের বাঁকে বাঁকে যারা দেশের জন্য, জাতির জন্য অকাতরে উৎসর্গ করে গেছেন জীবন, সেসব জানা-অজানা মহান শহিদের সম্মানে পেশ করছি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর