Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রূপগঞ্জে আড়ত দখল

স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদল সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ আহত ২১

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদল সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ আহত ২১

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রভাব বিস্তার ও পাইকারি আড়ত দখল কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পালটাধাওয়া, গুলিবর্ষণে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকার এ সংঘর্ষে একটি জিপগাড়ি ও ১০টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসংলগ্ন সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়ৎ নিয়ে জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের বিরোধ চলেছিল। মজিবুর রহমানের দাবি, সেলিম প্রধানের মালিকানাধীন জমি তিনি ১০ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে ভাড়া নিয়েছেন। পরে সেখানে বালু ভরাট ও শেড নির্মাণ করে কাঁচাবাজারের আড়ত গড়ে তোলেন। এখন পেশিশক্তি খাটিয়ে আড়ৎটি বেদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন সেলিম প্রধান। অন্যদিকে, সেলিম প্রধানের দাবি, ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে জমি দখল করে আড়ত গড়ে তুলেছেন মজিবুর রহমান। এদিকে, আড়ৎটি দখল করতে সেলিম প্রধানের পক্ষ নেয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান ও তার লোকজন। আর মজিবুর রহমান ও আড়তের ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আড়তের পাশে সেলিম প্রধানের বাড়িতে মাসুদুর রহমানের লোকজন অবস্থান নেন। এ সময় আড়তের পাশের সড়ক দিয়ে রফিকুল ইসলাম তার নেতাকর্মীদের নিয়ে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল বের করেন। সেলিম প্রধানের বাড়ির ভেতর থেকে ওই মিছিলে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পরে দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন ধাওয়া-পালটাধাওয়া, গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২১ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাজু ও স্বপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় সেলিম প্রধানের ব্যবহৃত একটি জিপগাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল করছিলাম। ওই মিছিলে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, গুলি ও হামলা করে।

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে শুনেছি আমার লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়েছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গ সার্কেল মেহেদী ইসলাম বলেন, সেলিম প্রধানের সঙ্গে মজিবুর রহমানের বিসমিল্লাহ আড়ৎ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যেহেতু গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চষ্টা চালাব। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আড়তের আসল মালিক কে সেটা নির্ধারণে আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম