শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ৬
হামলার তীব্র নিন্দা হাসনাত আবদুল্লাহর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর শাহবাগে রোববার পুলিশের সঙ্গে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পালটাপালটি ধাওয়ায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই ইবতেদায়ি শিক্ষক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন আনোয়ার হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, আমিনুল, মিজানুর রহমান, বিন্দু ঘোষ ও মারুফা আক্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। দুপুরে তারা স্মারকলিপি দিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকাতে চাইলেও তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পাশাপাশি লাঠিপেটা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে রওয়ানা হলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোতে চাইলে তাদের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
ঝালকাঠির দপদপিয়া শেখবাগল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, জরুরি বিভাগে আহত শিক্ষকদের চিকিৎসা চলছে। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার বিকালে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকসহ বাংলাদেশে শিক্ষকসমাজ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা জানাই। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।