চেক প্রতারণার মামলা
সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া টি ২০ বিশ্বকাপের পর থেকেই দেশের বাইরে সাকিব আল হাসান। রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে আর দেশে ফেরা হয়নি সাবেক এই সংসদ-সদস্যের। চেক প্রতারণার মামলায় এবার তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আইএফআইসি ব্যাংকের চার কোটি ১৪ লাখ টাকার ‘চেক ডিজঅনার’ মামলায় বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাকিব এবং তার অ্যাগ্রো ফার্মের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে চার কোটি ১৪ লাখ টাকার একটি চেক দেয় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা নেগোসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। হিসাবে অর্থ না থাকায় চার মাস পার হয়ে গেলে চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত সাকিবসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন। এরপর মামলার শুনানির তারিখ ঠিক করা হয় ১৯ জানুয়ারি। কাল সাকিব আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতের পেশকার আতিকুর রহমান বলেন, ‘আজ (রোববার) মামলার আসামি ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।’ তিনি বলেন, ‘অপর আসামি মালাইকা বেগম মারা যাওয়ায় তার মৃত্যু প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাকিব ও গাজী শাহাগীর আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেফকারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’ এ ছাড়া গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে মামলা সম্পর্কে বাদী সাহিবুর রহমানের বলেন, ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম ঋণের বিপরীতে দুটি চেক দিয়েছিল। তারা ঋণ শোধ না করায় আমরা চেক দিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তখনই তাদের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নোটিশের কোনো জবাব তারা দেয়নি। পরে আমরা আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা করি।’
সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কার্যক্রম মূলত সাতক্ষীরায়। সাকিব এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৭ সালে ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে মোট আড়াই কোটি টাকা ঋণ নেয় সাকিবের অ্যাগ্রো ফার্ম। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক কয়েক দফা নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে কোনো জবাব আসেনি। সাকিব এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি।