ডাকসু নির্বাচন
৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ দাবিতে আলটিমেটাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ * ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। রোডম্যাপ তৈরিতে কাজ চলছে-ভিসি
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে সব অংশীজনকে নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রোডম্যাপ তৈরির ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর এ উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেছেন, ডাকসু নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলবে না। সিন্ডিকেট সভায় হট্টগোলের অভিযোগ অস্বীকার করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও বলেছে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে তারাও একমত। ডাকসু নির্বাচনের এখনই উপযুক্ত সময় জানিয়ে দ্রুত নির্বাচন চায় ছাত্রশিবিরও।
ঢাবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় বৃহস্পতিবার ডাকসু নির্বাচনের দাবি ওঠায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হট্টগোলের অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিল শেষে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে হলগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধি দরকার। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবি তাদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মোদাসসির চৌধুরী বলেন, ছাত্রদল ডাকসু ইলেকশন চাচ্ছে এবং তারা সংস্কার চাচ্ছে। আমরা তাদের বলে দিতে চাই, আপনারা যে সংস্কার চান আমরা সে সংস্কারের বিপক্ষে নই। বরং আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছি, এই সংস্কারটা আপনারা কতদিনের মধ্যে করবেন তার রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। কতদিনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরও বলছে, কোনো ছাত্র সংগঠনের দাবিতে নির্বাচন পেছানো উচিত নয়। দ্রুত দিতে হবে রোডম্যাপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। একটি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত। যারা পেছাতে চাচ্ছে বা পরবর্তীতে পিছিয়ে গেলে ডাকসুর যে জৌলুস, এর যে আবেদন তা হারাবে। তবে ছাত্রদলের দাবি ডাকসু নির্বাচনের বিরোধিতা করে হট্টগোল করা হয়নি। সিন্ডিকেট থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরানোর দাবি তোলা হয়। ডাকসুর বিষয়েও পুরোপুরি একমত তারাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নিয়ে যে সংস্কার ভাবনা বা যে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে আমরা তা সাদরে আমন্ত্রণ জানাব। তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাব। এখানে ডাকসু পেছানোর বা ডাকসু নির্বাচন দেরিতে হওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষা আমাদের নেই।
এদিকে রোডম্যাপ তৈরির ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামের জবাবে ঢাবি উপাচার্য জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আন্তরিক তারা। রোডম্যাপ তৈরিতে শুরু হয়েছে কাজ। বহুদিন পর একটি মুক্ত পরিবেশে এই সুযোগটি তৈরি হয়েছে। নির্বাচনটি উৎসবমুখর পরিবেশে করতে চাই। আমরা চাই ডাকসু নির্বাচনের কাজটি যতটুকু সম্ভব সবাইকে নিয়ে নিখুঁতভাবে করতে। শুক্রবার বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। আমরা চাই, সবার মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ঐক্য তৈরি হোক। সবার মধ্যে এ ব্যাপারে যেন চুক্তি বা সমঝোতার মতো কিছু হয়। আমরা সবাইকে নিয়েই একটা উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।
এদিকে এর আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রূপরেখা (রোডম্যাপ) দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নিয়ে আলোচনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তারা। বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। চলে ঘণ্টাখানেক। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলসংলগ্ন এলাকা থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ডাকসু যারা চায় না, শিক্ষার্থীদের শত্রু তারা’, ‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘দিতে হবে দিতে হবে, ডাকসু দিতে হবে’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, বাধা দেয় সাধ্য কার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সিন্ডিকেট সভা বসে। সভায় আওয়ামীপন্থি সিন্ডিকেট সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে-এমন খবর পেয়ে মিছিল নিয়ে এসে আওয়ামীপন্থি সিন্ডিকেট সদস্যদের অপসারণ এবং দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা। শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আরবি বিভাগের আবিদ হাসান রাফি, স্যার এএফ রহমান হলের এবি জোবায়ের, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মোহাম্মদ ইমরান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আব্দুর রহমান আল ফাহাদসহ অনেকে ছিলেন। এরপর ছাত্রদলের মানসুর রাফি, আবিদুর রহমান মিশুসহ একদল নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে আসেন এবং দ্রুত ডাকসু নির্বাচন না দেওয়ার দাবিতে হট্টগোল শুরু করেন। তারা উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। মাস্টার দা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলতে থাকেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল এখনো রাজনীতি শুরুই করতে পারেনি। অস্থিতিশীল এক পরিবেশে বিভিন্ন জনবিভিন্ন ব্যানারে রাজনীতি করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষের চাপের মুখে অনির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্যদের সভায় এখনই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ সময় তারা হলে হলে মনিটরিং কমিটি এবং ক্যাম্পাস পেট্রোল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডায় ডাকসুসংক্রান্ত কিছু নেই। ডাকসুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবার ঐকমত্য না হলেও বৃহত্তর অংশের সমর্থন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।
এ সময় একদিকে ছাত্রদল নেতারা দ্রুত ডাকসুর নির্বাচনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন, অন্যদিকে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চেয়ে স্লোগান দেন।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের রাখা হয়নি। ইতোমধ্যে নিয়ম মেনে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থিদের পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একজন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অগ্রগতির জন্য সিন্ডিকেট সভা করতে হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের কথা বলার প্ল্যাটফরম থাকলেও শিক্ষার্থীদের নেই। ছাত্রীদের তীব্র আবাসন সংকট। অথচ কেউ কথা বলার নেই। তিনি বলেন, জুলাইয়ে শিক্ষার্থীরা দাসত্বের জীবনের পরিবর্তন, বিদ্যমান সিস্টেমের পরিবর্তনের দাবিতে মাঠে ছিল। কিন্তু এখন ডাকসুর কথা বলার পর কতিপয় কুচক্রী মহল যারা শিক্ষার্থীদের গণরুম-গেস্টরুম কালচার তৈরি করতে চায়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়, তারা শিক্ষকদের হেনস্তা করে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে রয়েছি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, এবি জুবায়ের, সাকিব আহমেদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ আরিয়ান।
ব্হস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অংশগ্রহণ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানানোর পর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নানান প্রোফাইল, পেজ ও গ্রুপে বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকারসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে লড়াই চালিয়ে গেছেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সে লড়াইয়ে ছাত্রদলের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী শহিদ এবং গুমের শিকার হয়েছেন। এমনকি ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে ১৪৩ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন। আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে। তাদের মহান আত্মত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যে গণতান্ত্রিক প্রতিজ্ঞা, সে অনুসারে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার যে ডাকসু নির্বাচন, সেটিকেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রাণের দাবি হিসাবে বিবেচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বারবার ডাকসু সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোসহ সব অংশীজনের প্রস্তাবনা আহ্বান করেছে। ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে ডাকসুর উপযুক্ত সংস্কার ও নিয়মিত নির্বাচন চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করছে। এর পরও ছাত্রদল ডাকসু চায় না, ছাত্রদল ডাকসু দেরিতে হোক-এরকম বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও মনগড়া শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা নিতান্তই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হীন একটি চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন শুক্রবার এই বার্তা প্রেরণ করার পাশাপাশি ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের অনুমতিক্রমে দপ্তর সম্পাদক ব্যতীত আর কারও প্রদত্ত কোনো প্রকার মৌখিক বা লিখিত বক্তব্যকে সংগঠনের বক্তব্য হিসাবে গ্রাহ্য ও প্রচার না করতে দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ছাত্রদলের চার নেতাকে শোকজ : এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চার নেতাকে শোকজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত চারটি পৃথক বিবৃতির মাধ্যমে এ শোকজ করা হয়। শোকজপ্রাপ্তরা হলেন মো. আবিদুর রহমান মিশু (সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদল), সাকিব বিশ্বাস (দপ্তর সম্পাদক, বিজয় ৭১ হল), মনসুর আহমেদ রাফি (প্রচার সম্পাদক, হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল) ও সুলতান মো. সাদমান সিদ্দিক (সহদপ্তর সম্পাদক, বিজয় একাত্তর হল)।