থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ
চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে দুদক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক একেএম মাকসুদুর রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন-এমন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ৭ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বাড়ানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
আক্তার হোসেন আরও বলেন, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে কিনেও বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের তিনটি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্য করা হয়েছে। এ প্রকল্পের দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়া থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি আমদানি করে সংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া টার্মিনালের সিলিংয়ের কাজে অনিয়ম হওয়ার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। ওই সময় টার্মিনালের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়। পরে টার্মিনালের পুরো কার্যক্রম সমাপ্ত হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। টার্মিনালটি নির্মাণে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার কোটি অভ্যন্তরীণ। বাকি তহবিলের জোগানদাতা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।