শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর
ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির তথ্য জানা নেই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির তথ্য প্রসিকিউশন দলের কাছে নেই। তিনি বলেন, এ তথ্য বাংলাদেশ পুলিশের শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওয়া যাবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে যে নির্ধারিত ফর্ম আছে, তা পূরণ করে চিঠির মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং দিয়ে এনসিবির কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হলে মূল বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের শাখা, ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলের বিষয়গুলো দেখভাল করে। ১৩ নভেম্বর চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে এনসিবিতে পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বাকি কাজ করার দায়িত্ব এনসিবির। সুতরাং ইন্টরপোলের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হয়েছে কি না, এটি বলার দায়িত্ব এনসিবির তথা পুলিশ মহাপরিদর্শকের অফিসের। তিনি বলেন, রেড নোটিশ জারির খবর আমরা ক্লিয়ারলি বলতে পারছি না। পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির দায়িত্বে একজন অ্যাডিশনাল আইজিপি আছেন, এ বিষয়ে তার কাছে জানা যাবে। পরবর্তী সময়ে যদি আমরা কিছু জানতে পারি, তাহলে জানিয়ে দেব।
শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত খুব জোরেশোরে চলছে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলো চলমান থাকবে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং গত ১৬ বছরের গুম-ক্রসফায়ারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ, পিলখানা ও হেফাজতে ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যত অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের কাছে এসেছে, এর তদন্ত চলছে। তিন মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটি কোনো চূড়ান্ত কথা নয়, তারা (তদন্ত সংস্থা) আশা করছেন তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবেন। তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে পৌঁছালে আমরা বলতে পারব মূল বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে। পাশাপাশি পুরো দেশে যেসব মামলা, এর সব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা সম্ভব নয়।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এ প্রশ্নের জবাব চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় দিতে পারবে না, এটা রাষ্ট্রের বিষয়। ভারতের সঙ্গে অপরাধী বহিঃসমর্পণ যে চুক্তি আছে, এর অধীনে অপরাধীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের নিতে হবে। সরকারের কাছে আমরা তথ্য পাঠিয়েছি, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে কখন কীভাবে চাইবে বা ইতোমধ্যে চেয়েছে কি না, সেটি সরকার বলতে পারবে। এটি আমাদের জানা নেই।