তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রক্রিয়া ঠিক করবেন সুপ্রিমকোর্ট: অ্যাটর্নি জেনারেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপ দেওয়া প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা নির্ধারণ করবেন সুপ্রিমকোর্ট। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তিসংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই সরকার যদি ১৩ অ্যামেন্ডমেন্টের (ত্রয়োদশ সংশোধন) রায়ের পরে আমরা দেখি, অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকার কি সেটা করতে পারবে? জবাবে তিনি বলেন, কেন পারবে না? অবশ্যই পারবে। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিরা (অন্তর্বর্তী সরকারের) যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে চলে যাবেন, তারা তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবেন। এটার সাংবিধানিক সাংঘর্ষিক কোনো জায়গা নেই।
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার জন্য নতুন সরকার গঠন করতে হবে নাকি অন্তর্বর্তী সরকারকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই (অন্তর্বর্তী) সরকার রিনেমড (নতুন নাম) হবে। যেমন, জেলা ও দায়রা জজের নাম শুনেছেন। একই ব্যক্তি যখন সিভিল মামলা করেন, তখন তাকে বলা হয় জেলা জজ। একই ব্যক্তি যখন ক্রিমিনাল মামলা করেন, তখন তাকে বলা হয় দায়রা জজ।’
কার অধীনে নির্বাচন হবে, এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই সরকার যদি ১৩ অ্যামেন্ডমেন্টের (ত্রয়োদশ সংশোধন) রায়ের পরে আমরা দেখি, অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকার কি সেটা করতে পারবে? জবাবে তিনি বলেন, কেন পারবে না? অবশ্যই পারবে। আসাদুজ্জামান বলেন, আজকের রায়ে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধ সরকার। ওইটার (অন্তর্বর্তী সরকার) সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করাটা অবৈধ হয়েছে। এখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েছে। তারা রেফারেন্স হিসাবে বলেছেন, গত তিনটি নির্বাচন কিভাবে হয়েছে এবং কিভাবে দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। কিভাবে আইনের শাসন ভূলণ্ঠিত হয়েছে। কিভাবে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিভাবে সংবিধানের মূল কাঠামোতে আঘাত করা হয়েছে। গণভোটে জনগণের যে ক্ষমতা সেটাকে সংকুচিত করা হয়েছিল। ওই সংকুচিত করাকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। অন্য বিষয়গুলোর বিষয়ে পার্লামেন্ট দেখবেন বলে ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এরপর ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে পেনডিং আছে। সেখানে আপিল বিভাগ যে ফাইন্ড এসেছে তা দেখবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা আদালত বলেছেন অবৈধ। তার মানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বৈধ। আর ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ে সাতজন বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে দুটি নির্বাচন।
বিচারপতি খায়রুল হক-সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কারণে দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত : তিনি বলেন, সাতজন বিচারপতির মধ্যে পরবর্তীতে তিনজন পল্টি মেরে ছিলেন। মূল রায় ঘোষণার ১৭ মাস পরে লিখিত রায় দেন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। সেখানে তিনি রায় দিলেন, পরবর্তী দুটি নির্বাচন হবে তবে পার্লামেন্ট ঠিক করবে কোন ফরমেটে হবে। তার সাথে নাম মেলালেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তারা বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন।