রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প
হাসিনা জয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্টে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে এ অভিযোগ অনুসন্ধান-তদন্তে সংস্থাটির ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ খানসহ ১৪ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাহেদুল আজম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও শফিকুর রহমান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী চৌধুরী নাসিমা। আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, ‘তিন মাস আগে রিট আবেদন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করছে বলে দুদকের আইনজীবী শুনানিতে বলেছেন। যে কারণে আদালত কোনো নির্দেশনা না দিয়ে রুল জারি করেছেন।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান, তদন্তে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ববি হাজ্জাজ। অবিলম্বে অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু এবং অনুসন্ধানে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৫৯ হাজার কোটি টাকা) বেশি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করে দেশের গণমাধ্যমগুলো।