Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলন

নগরীতে দিনভর বিক্ষোভ

বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পালটাধাওয়া, সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর * তীব্র যানজটে নাকাল ঢাকাবাসী * আপিলের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নগরীতে দিনভর বিক্ষোভ

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা পঞ্চম দিনের মতো রোববার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেছেন। ব্যাটারি রিকশা চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছেন। এদিন তারা নগরীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, পল্টন, প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর, আসাদগেটসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন। যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়। যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুরে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মারামারির কারণে নগরীতে দিনভর তীব্র জানযট সৃষ্টি হয়। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় সব পর্যায়ের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। অধিকাংশই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। দিনভর এভাবে চলার পর সন্ধ্যায় কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। রিকশা ভ্যান ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে এবং সোমবার ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তাদের আলোচনার আহ্বানের প্রেক্ষিতে তারা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন।

মহানগরের বিভিন্ন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিক্ষোভের কারণে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আন্দোলনকারীদের নানাভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে তারা সফল হন। আন্দোলনকারীরা রাজপথ ছেড়ে দেন। তবে সারা দিন কোথাও পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি।

রিকশা ভ্যান ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম যুগান্তরকে বলেন, রোববার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার সোমবার আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন। রমনা জোনের ডিসির মাধ্যমে আমাদের তা জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রধান সড়ক ছাড়া আপাতত পুলিশ কোনো গাড়ি ধরপাকড় করবে না, এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছি। তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে একটা আলটিমেটাম দিয়েছি, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, যৌক্তিক রুট পারমিট এবং নীতিমালা আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রমিক মহাসমাবেশ করব এবং ওই সমাবেশ থেকে দেশব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম যুগান্তরকে বলেন, শ্রমিক প্রতিনিধিরা সোমবার ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন। কমিশনার তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদের সমস্যার কথা শুনবেন।

রোববার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক, শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কামরাঙ্গীরচর, আগারগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন ব্যাটারি রিকশাচালকরা। সড়কে তাদের বিক্ষোভের কারণে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নাগরিকরা। এদিন সকাল থেকেই ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের পূর্বনির্ধারিত ‘গণঅবস্থান’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আসেন আন্দোলনকারী চালকরা। সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নেন তারা।

অন্যদিকে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড় ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় তারা সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে তাদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে রওয়ানা হন। আরেক অংশ মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর, যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হয়।

এছাড়া যাত্রাবাড়ী মোড়ে বেলা ১১টার দিকে সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এ সময় তারা বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ধাওয়া দেন। এতে দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে ব্যাটারি রিকশাচালকরা সড়ক ছেড়ে দিয়ে চলে যান।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই শতরূপা কুণ্ডু বলেন, রিকশাচালকরা সড়ক আটকে আচমকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা এসে তাদের প্রতিরোধ করলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।

জাতীয় প্রেস ক্লাব : হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যাটারি রিকশাচালকরা গণঅবস্থান করেন। এই কারণে রোববার বেলা ১১টার দিকে হাইকোর্ট, কদম ফোয়ারা থেকে পল্টন পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারি রিকশাচালকরা রাজধানীর সেকশন, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মাজার মোড় ও কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আসেন। এছাড়া চিটাগাং রোড এলাকা থেকেও মিছিল নিয়ে রিকশাচালকদের প্রেস ক্লাবের সামনে আসতে দেখা যায়। এ সময় তারা ‘ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে তারা রাস্তায় বসে পড়েন। প্রেস ক্লাবের সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে লাল ব্যানারে সমাবেশ মঞ্চের আয়োজন করে রিকশা ভ্যান ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন।

আন্দোলনকারীরা জানান, দ্রুত ব্যাটারি অটোরিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে এসব যানবাহনের রুট পারমিট দিতে হবে। কামরাঙ্গীরচর থেকে আসা ব্যাটারি রিকশাচালক মো. সুমন আহমেদ বলেন, সব সময় গরিবের পেটে লাথি মারা হয়। এবারও ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশ আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন এ রিকশা। হঠাৎ রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। সরকার আমাদের দিক বিবেচনা করে দ্রুত ব্যাটারি রিকশার রুট পারমিট দেবেন।

যাত্রাবাড়ী : যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, রোববার যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারি অটোরিকশা চালকরা। এদিন সকাল ১০টায় ব্যাটারি রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। সড়ক স্বাভাবিক করতে আন্দোলনরত রিকশাচালকদের ধাওয়া করে ড. মাহবুবুর রহমান কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এতে বাসযাত্রীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে রিকশাচালকরা সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে সকাল ৯টা থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, কোনাপাড়া, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রিকশাচালকরা যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়কের কাজলারপাড় এসে জড়ো হন। এতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক, শহীদ ফারুক সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, চালকরা সকাল ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আমি তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেরনি। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। হামলায় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে দেখে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না পুলিশের।

মোহাম্মদপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, মোহাম্মদপুর এলাকায় সড়ক আটকে দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছেন ব্যাটারি অটোরিকশাচালকরা। মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড় এলাকায় রোববার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া আন্দোলন দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে স্থগিত ঘোষণা করে সড়ক ছেড়ে দেন তারা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বাস, পিকআপ ও সিএনজিসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনরত ব্যাটারি অটোরিকশাচালকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টা থেকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড় সড়কের চারপাশ আটকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন ব্যাটারি রিকশাচালকরা। এ সময় পুরো এলাকায় আশপাশের সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। যারা আন্দোলনকারীদের বাধা উপেক্ষা করে যেতে চান তাদের মারধরসহ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফজলুল রহমান জানান, সকালে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান। স্কুল ছুটির পর ব্যাটারি অটোরিকশা চালকদের আন্দোলনে বাধার মুখে পড়েন। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলার বাসার উদ্দেশে হেঁটে রওয়ানা দেন তিনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইসমত জাহান বলেন, আমাকে বেড়িবাঁধ হয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে যেতে হয়। আজ (রোববার) বেড়িবাঁধে এসে বাধার মুখে পড়েছি। ব্যাটারি অটোরিকশাচালকরা রাস্তার চারপাশ থেকে আটকে দিয়ে আন্দোলন করছেন। কোনো গাড়ি তাদের বাধা উপেক্ষা করে যেতে চাইলে তাদের আটকে মারধরসহ গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার জানান, তারা আন্দোলনরত চালকদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে দুপুর আড়াইটায় সড়ক ছেড়ে দেন তারা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু এসব এলাকাই নয়, রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, আগারগাঁও, মিরপুর, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা। ফলে রাজধানীজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকাল হতে হয়েছে অফিসগামী এবং জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষকে।

আসাদগেট থেকে ৮ নম্বর পরিবহণে আসা যাত্রী হাসানুজ্জামান জানান, তাকে বহন করা বাসটি মৎস্য ভবনের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর যানজটের কারণে আটকা পড়ে। তিনি জানতে পারেন প্রেস ক্লাবের দিকে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন চলছে। উপায় না দেখে গাড়ি থেকে নেমে তিনি হেঁটে রওয়ানা দেন গুলিস্তানের উদ্দেশে। আরেক যাত্রী আব্দুল জলিল বলেন, সাধারণ মানুষ নিয়ে কেউ ভাবে না। আন্দোলন তো আরও অনেকভাবেই করা যায়। কিছু হলেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত। ডিএমপির তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) স্নেহাশিস কুমার দাস বলেন, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভের কারণে যানবাহনের ধীরগতি দেখা দেয় এবং যানজটের কারণে দুর্ভোগ বেড়ে যায় মানুষের। তিনি বলেন, ‘ঢাকাতে এক জায়গায় সড়ক বন্ধ হলে অন্যান্য এলাকায় চাপ সৃষ্টি হতে সময় লাগে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম