Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর প্রশ্রয়ে পদে পদে দুর্নীতি

পাউবো’র মুকুটহীন সম্রাট এডিজি অজিয়র

নেসারুল হক খোকন

নেসারুল হক খোকন

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পাউবো’র মুকুটহীন সম্রাট এডিজি অজিয়র

সংগৃহীত

এসএম অজিয়র রহমান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি)। যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য এই পদ সংরক্ষিত। বিসিএস ২০তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা পাউবোর নিজস্ব জনবলের বাইরে মন্ত্রণালয়ের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন। পদাধিকারবলে পদোন্নতি, বদলি ও নিয়োগ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে তিনি রীতিমতো পাউবোর মুকুটহীন সম্রাট বনে গেছেন। বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ তিন বছর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ‘পকেট’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। মূলত ওই প্রতিমন্ত্রীর প্রশ্রয়েই নির্বিঘ্নে পদে পদে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। মহাপরিচালকের (ডিজি) ক্ষমতা খর্ব করে একজন পিয়ন বদলিতেও তিনি গুনে নিয়েছেন টাকা। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর একটি গাড়ি ছিল তার দখলে। এর আগে প্রকল্পের একটি দামি গাড়িও রেখেছেন নিজের জিম্মায়। মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলার পরও গাড়ির জিম্মাধারী তিনি ছাড়েননি। আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাগেরহাটের গ্রামের বাড়িতে প্রকল্পের নামে টাকা নিয়ে ভাগাভাগির বিষয়টি সবাই জানলেও প্রতিমন্ত্রীর কারণে কেউ কিছু বলতে পারতেন না। এভাবে প্রকল্প দেখিয়ে লুটেপুটে খেয়েছেন সরকারের কোটি কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে অজিয়র রহমানের নানা অপকর্মের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সরকারি টাকার লুটপাটের চিত্র পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হতবাক করেছে। বিভিন্ন মিটিংয়ের নামে সময়ক্ষেপণ করে ভাতার অঙ্ক বাড়িয়েছেন বহুগুণে। এক মিটিংয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত তার জন্য তিনটি মিটিং করে অন্তত ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা নিয়েছেন। গত তিন বছরে এ রকম ভাতার নামে কত টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা মুশকিল।

ওই কর্মকর্তার আরও অভিযোগ-এসএম অজিয়র রহমানের কারণে পাউবোর ‘চেইন অব কমান্ড’ তছনছ হয়েছে। তিনি ২০২১ সালে যখন এডিজি পদে বসেন তখন বর্তমান ডিজি আমিরুল হক ভূঁইয়া ছিলেন রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী। পদাধিকারবলে ওই সময় অজিয়র রহমানকে ‘স্যার’ সম্বোধন করতে হয়েছে। এই এডিজির আমলেই ডিজি হয়েছেন আমিরুল হক। উভয়ের জন্যই বিষয়টি বিব্রতকর ছিল। সময়ের ব্যবধানমূলক পদোন্নতির কারণে ডিজির কাছে যেতেন না অজিয়র। এ নিয়ে মানসিক দূরত্ব আছে। দ্বিতীয়ত, অজিয়র রহমান সাবেক প্রতিমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই ঘনিষ্ঠতা লেনদেন পর্যন্ত গড়ায়। এভাবে তিনি প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে ডিজির বদলির ক্ষমতা খর্ব করে নিজের কাছে কুক্ষিগত করেন। তাকে ‘ম্যানেজ’ করেই সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী পছন্দের পদ বাগিয়ে নিতেন। এক্ষেত্রে তিনি (অজিয়র) প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙাতেন। জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান রোববার যুগান্তরকে বলেন, তার (অজিয়র রহমান) বিরুদ্ধে কিছু কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ না করায় অজিয়র রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পত্রপত্রিকায় যেসব বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হবে তার প্রত্যেকটি তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাগেরহাটে সরকারি টাকায় প্রকল্প নিয়ে কাজ না হয়ে থাকলে যত বড় প্রভাবশালী কর্মকর্তাই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি অভিযোগ তদন্ত হবে।’

প্রকল্পের টাকাও পেটে : তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এসএম অজিয়র রহমানের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই কর্মকর্তা তার ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রামে মতের খাল খননের নামে ২০২৩ সালে ৫২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন। নামকাওয়াস্তে এই খনন করে লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। একই বছর স্থানীয় নাজিরপুরে ঘোরের খালে ড্রেনেজ আউটলেট তৈরির নামে বরাদ্দ নেওয়া হয় দুই কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার টাকা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বেমরতা ইউনিয়নের আরেকটি সীমানায় ঘোরের খাল খননের নামে নেওয়া হয় আরও ৮৬ লাখ ৯ হাজার টাকা।

সরেজমিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে পাউবো থেকে এই কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, বাস্তবে মানুষের কোনো উপকারেই আসেনি। লোক দেখানোর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু কিছু স্থানে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার নমুনা তৈরি করে। বর্তমানে এর কোনো চিহ্নই নেই।

ক্ষমতার উৎস : ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে শেখ পরিবারের অনেকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খুলনার দীঘলিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন অজিয়র রহমান। ওই সময় বাগেরহাটের ছেলে হিসাবে শেখ হেলালের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরপর ওই সময়ের প্রভাবশালী শেখ পরিবারের ছায়ায় পদোন্নতি পেয়ে টানা তিন বছর খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকও ছিলেন তিনি। এর আগে বরিশালের বাকেরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাবস্থায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সাবেক প্রতিমন্ত্রী বরিশাল সদরের এমপি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের সঙ্গেও তার সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন তিনি। সেখানেও তার রেকর্ডপত্র সুবিধাজনক পাওয়া যায়নি। এরপর তৎকালীন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের তদবিরে বরিশালের ডিসি করা হয় তাকে। ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর বরিশালের ডিসি হিসাবে যোগদান করেই আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে দাপট বাড়িয়ে দেন। ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিসি হিসাবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। এরপর কৃষি মন্ত্রণালয়ে উপসচিব থাকাবস্থায় ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি যুগ্মসচিব হিসাবে পদোন্নতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের ইচ্ছানুযায়ী পাউবোর এডিজি হিসাবে যোগদান করেন। অভিযোগ আছে-পাউবোতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের কমিশন বাণিজ্য তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন। ‘প্রতিমন্ত্রীর পকেট’ হিসাবেই তিনি পরিচিত। কাজী তোফায়ালের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স গঠনের পর পাউবোর প্রায় সব ধরনের কাজের অগ্রগতি ছিল সন্তোষজনক। কিন্তু অজিয়রের নেতৃত্বাধীন কর্মকর্তাদের কারণে এই কাজ এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, পাউবোর সাবেক ভূমি রাজস্ব পরিচালক রেজাউল করিমের সঙ্গে ছিল এই অজিয়র রহমানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। কারণ পাউবোর অব্যবহৃত জমি অলিখিত লিজ দিয়ে যে টাকা গোপনে আয় করেছেন তার একটি বড় অংশ অজিয়র রহমানও পেয়েছেন। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা রেজাউলের সঙ্গে অজিয়র রহমানের টাকা ভাগাভাগির চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। এরপরই তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির দুজনকেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য করেন। দুজনই চোখের অসুস্থতার কথা বলে তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চান। এরা হলেন-পাউবোর ডিজাইন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন এবং তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও বোর্ডের পরিচালক ওবায়দুল ইসলাম।

অবৈধ লিজের নমুনা : নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের আইন ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মামুন তালুকদার মিরপুরের গোড়ান চটবাড়ি মৌজায় ১ একর জমি বরাদ্দ চেয়েছিলেন ২০২২ সালে। জমি বরাদ্দের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জোনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘অবৈধ দখল ঠেকাতে তিন বছর মেয়াদে ইজারা দেওয়া যেতে পারে। এই ইজারা প্রদানের বিপরীতে প্রতিবছর সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট, আয়কর, ভূমি উন্নয়ন কর, জামানত ফেরত বা সমন্বয়সহ ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইজারা নেওয়া যেতে পারে।’

জানা যায়, গ্রামীণ ট্রাস্টের ওই প্রস্তাবটি ইজারা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে না পাঠিয়ে অজিয়র রহমান পানি উন্নয়ন বোর্ডেই নথিভুক্ত করেন। এই নোটশিটে স্বাক্ষর রয়েছে তৎকালীন ভূমি রাজস্ব পরিচালক রেজাউল করিমেরও। বাস্তবতা হচ্ছে, পাউবোর অব্যবহৃত জমি বৈধভাবে লিজ দিয়ে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় না করে সেই জমি অবৈধভাবে ভোগদখলের সুযোগ দিয়ে গেছেন এই দুই কর্মকর্তা (অজিয়র রহমান ও রেজাউল করিম)। এর বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের টাকা পকেটস্থ করেছেন তারা।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাউবোর অব্যবহৃত জমি অবৈধ দখলের (অবৈধ লিজ) একটি তালিকা যুগান্তরের কাছে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, এই দুই কর্মকর্তার সহযোগিতায় শুধু রাজধানীতেই প্রায় সাড়ে ৫শ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন অজিয়র রহমান ও রেজাউল করিম। সারা দেশে ৩৭ হাজার ৫৪০ একর অব্যবহৃত জমির মধ্যে হালনাগাদ তালিকায় অবৈধ দখলে আছে ৪ হাজার ৫৭৩ একর ৭৪ শতক জমি। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৪৭ একর ৭৫ শতক, চট্টগ্রামে ৫১ একর ৪০ শতক, সিলেটে ১৯ একর ৮৫ শতক, রাজশাহীতে ২৫০ একর ৪৫ শতক, বরিশালে ৭৬ একর ১৮ শতক, রংপুরে ৪৩৪ একর ৯৩ শতক, ফরিদপুরে ৫০ একর ৫৯ শতক, খুলনায় ৮৭১ একর ৪১ শতক। এসব অবৈধ দখল থেকে নেওয়া হচ্ছে মাসোহারা।

ত্রাণের টিনও বিক্রি : শুধু পাউবোর কার্যক্রমের অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না অজিয়র রহমান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘বরিশালের ডিসি থাকাবস্থায় ত্রাণের টিনও বিক্রি করেছেন অজিয়র রহমান। এই টিন বিক্রির জন্য দালাল সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন তিনি। কম দামে টিন পাওয়ার লোভে অনেকেই সিন্ডিকেট সদস্যদের টাকা দিয়ে ত্রাণের টিন কেনার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, ‘২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ত্রাণের টিন বরাদ্দের তালিকা সরেজমিন তদন্ত করলেই অজিয়র রহমানের ত্রাণের টিন বিক্রির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তিনি বরিশাল থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসাবে বদলি হয়ে যাওয়ার পর অনেকে টিনের জন্য আসেন। এ সময় টিনের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন এমন গুরুতরও অভিযোগ পাওয়া যায়। আসলে তখনই জানতে পারি সাবেক এই ডিসি ত্রাণের টিন বিক্রি করেও টাকা নিয়েছেন। তার কার্যক্রমে আমাদের লজ্জা পেতে হয়েছে।’

আত্মগোপনে অজিয়র : ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বরিশাল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন অজিয়র রহমান। ওই সময় জেলা যুবদলের সভাপতি মশিউল আলম খান পলাশকে মারধরের অভিযোগে গত ১০ নভেম্বর মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই মামলায় সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল জাহিদ ফারুককেও আসামি করা হয়েছে। অজিয়র রহমানকে তিন নম্বর আসামি করা হয়। মামলার পর পাউবো মহাপরিচালকের কাছে শ্রান্তি বিনোদনের নামে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে আছেন পাউবোর মুকুটহীন এই সম্রাট।

অভিযোগের বিষয়ে এসএম অজিয়র রহমানের মন্তব্য নিতে রবি ও সোমবার তার বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ডায়াল করা হয়। পাশাপাশি একই নম্বরে এই প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিয়ে খুদে বার্তা পাঠান। কিন্তু মঙ্গলবার রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন কল ব্যাক করেননি অথবা খুদে বার্তার কোনো জবাবও দেননি। শুধু তাই নয়, তিনি এই প্রতিবেদকের সেলফোন নম্বরই ব্লক করে দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম