Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সাবলেট ভাড়া নিয়ে ডাকাতি

মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

রাজধানীর আজিমপুরে মোডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা বাসার মালামালের সঙ্গে একটি দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এক নারী ওই বাসার এক রুম সাবলেট ভাড়া নেওয়ার একদিন পরই সহযোগীদের নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। শিশুটির ছবিসহ একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শিশুটির বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং মা ফারজানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে চাকরি করেন। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।

ফেসবুকে শিশুটির মায়ের এক সহকর্মীর দেওয়া পোস্টে বলা হয়, ‘শুক্রবার আজিমপুর মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার লালবাগ টাওয়ারের পাশের গলি থেকে আমার অফিস কলিগ ফারজানার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা (একজন মহিলা আর দুজন পুরুষ) বাসার জিনিসপত্র এবং আমার কলিগের একমাত্র বাচ্চা নিয়ে গেছে। বাচ্চাটি পাওয়া গেলে এই মোবাইল নম্বরে (পোস্টে উল্লেখ করা দুটি নম্বর) যোগাযোগ করুন।’

দুটি নম্বরে কল করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন তিনি। তবে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানেন না দাবি করে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, ফারজানা আমাদের সহকর্মী। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এক নারীকে ফারজানাদের বাসার একটি রুম সাবলেট হিসাবে ভাড়া দেওয়া হয় এমনটা শুনেছি। ডাকাতির সময় মালামালের সঙ্গে শিশুটিকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা। শিশুটির খোঁজ পাওয়া গেলে যোগাযোগ করতে বলেছি।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যৈনু মারমা যুগান্তরকে বলেন, শিশুটির পরিবার আজিমপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার বাবা ও মা দুজনেই চাকরি করেন। বৃহস্পতিবার ওই বাসার একটি রুম সাবলেট হিসাবে ভাড়া নেন এক নারী। শুক্রবার সকালে ওই নারী আরও কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে বাসাটিতে ডাকাতি করেন। তারা বাসার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকেও সঙ্গে নিয়ে যান।

ওসি বলেন, সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একজন নারী ও তিনজন পুরুষ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম