প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা: ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউট’-এর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
নির্বাচনের পর জনসম্মুখে দেওয়া প্রথম দীর্ঘ বক্তব্যে ট্রাম্প একাধিকবার জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করবেন। অবশ্য কীভাবে তিনি এ কাজ করবেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তিনি জানান, এরপর তার অন্যান্য অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে মধ্যপ্রাচ্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত, ভঙ্গুর, ব্যর্থ প্রশাসনকে সাফ করা। তবে এসব পরিকল্পনার বিষয়েও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউট’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজেরই সংস্থা। ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাত ধরে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংস্থাই দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একাধিক রক্ষণশীল নীতির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আমরা যে এভাবে জিতে যাব, তা কেউ জানত না। এটি একটি বড় বিজয় ছিল। জনতার মাঝে উপস্থিত থাকা অনেককে তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদও দিয়েছেন। তাদের মাঝে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই এবং হাউজ স্পিকার মাইক জনসনও রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার মালিক ইলন মাস্কের কথাও বারবার উল্লেখ করেন। ইলন মাস্ক গত কিছুদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বাসভবনেই ছিলেন। ইলন মাস্ককে মজা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি এ জায়গাটি পছন্দ করেন। আমি তাকে বের করে দিতে পারি না। আমিও এখানে তাকে পেয়ে আনন্দিত।
আরও কিছু হাই প্রোফাইল সমর্থককেও অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামী ও মার্কিন রাজনীতিক তুলসী গ্যাবার্ড। তাদের দুজনকেই সিনিয়র পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফ্লোরিডায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি হোম সেক্রেটারি হিসাবে ডগ বারগামকে মনোনীত করেছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ফেডারেল জমির ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের দায়িত্ব যে বিভাগের আওতায়, একসময়ের প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডগ বারগাম এবার সেই বিভাগই পরিচালনা করবেন।
এ পদসহ বেশির ভাগই মন্ত্রিপরিষদ পদের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এ সময়টা ট্রাম্প বেশ উপভোগ করছেন। তিনি নিজেই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি অনেকদিন অপেক্ষা করছেন। তবে তার শপথ গ্রহণ জানুয়ারির আগে হবে না। তাই ভক্ত ও সমর্থকদের সঙ্গে বিজয় উদ্যাপন করতেই শুক্রবার এ আয়োজন করা হয়।