৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ২৫২/৭, ৫০ ওভারে * আফগানিস্তান ১৮৪/১০, ৪৩.৩ ওভারে * ফল : বাংলাদেশ ৬৮ রানে জয়ী।
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অভিষেকেই জাকের আলী অনিকের ২৭ বলে ৩৭* রানের ক্যামিও ইনিংসে বাংলাদেশ আড়াইশ (২৫২/৭) রান পার করতে পারে। এক বছরেরও বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফেরা নাসুম আহমেদ ব্যাটিংয়ে অসাধারণ এক ইনিংসের পর বোলিংয়ের তিন উইকেট নিয়ে জেতালেন দলকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে বাজে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। শনিবার শারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫৩ রানের লক্ষ্যে নেমে আফগানিস্তান অলআউট ১৮৪তে। বাংলাদেশ জিতেছে ৬৮ রানে। ৭৬ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ম্যাচের সিরিজটি ১-১ এ সমতায় এখন। তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি শারজায় আগামীকাল।
প্রথম ম্যাচে পেসাররাই নিয়েছিলেন আফগানদের নয়টি উইকেট। কাল উইকেট ভাগাভাগি করে নিলেন স্পিনার ও পেসাররা। তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান-তিন পেসার মিলে নিয়েছেন চার উইকেট, মেহেদী হাসান এবং নাসুম আহমেদ পেয়েছেন পাঁচটি। চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে দুবার জীবন পেয়ে রহমত শাহ যা একটু ভড়কে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি রানআউটের শিকার হওয়ার আগে করেন ৫২ রান। এছাড়া আফগান দলের আরও পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে সেদিকুল্লা আতালের ব্যাট থেকে। প্রথম ম্যাচে ২৩৬ রানের ছোট লক্ষ্যে নেমেও বাংলাদেশ ৯২ রানের বড় ব্যবধানে হারে। বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আগের ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়া আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফারকে সামলানো। টসের সময় বাংলাদেশকে ২৪০ রানের ভেতরে আটকাতে চাওয়ার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শাহিদি। মুশফিকুর রহিম ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়ায় তার জায়গা একাদশে একটি পরিবর্তন অনিবার্য ছিল। তার জায়গায় অভিষেক হয় উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলীর। লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনের জায়গায় একাদশে ফেরানো হয় নাসুম আহমেদকে। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আকার তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন।
শুরুটাতে তানজিদ আক্রমণাত্মক খেলেন। আউট হন সেই গজানফার বোলিংয়ে। পরে প্রথম ম্যাচের মতো এবারও দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশছোঁয়া জুটি পায় বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি করতে পেরেছেন শুধু নাজমুল। ৭৭ রান করতে তিনি খেলেছেন ১১৯ বল। প্রথম নয় ব্যাটারের সাতজনই ছুয়েছেন দুই অঙ্কের ঘর। সৌম্য সরকার ৩৫ রানে এলবিডব্লুর শিকার হন। রিভিউ নিলে অবশ্য বেঁচে যেতেন তিনি। এছাড়া তানজিদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২২ করে রান। পরে তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহরা হতাশ করলে শেষ দিকে ২০০ হওয়া নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
অভিষিক্ত জাকের ও এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় এক বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে আড়াইশ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তিন চার ও এক ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭* রান করেন জাকের। ওয়ানডে অভিষেকে অন্তত তিনটি ছক্কা মারা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার তিনি। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেছিলেন সাব্বির রহমান। নাসুমের ব্যাট থেকে আসে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ বলে ২৫ রান। আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নানগেয়ালিয়া খারোটে। মাত্র ৩২ রানে দুই উইকেট পান রাশিদ খান। ফজলহক ফারুকি সাত ওভারে খরচ করেন ৬৯ রান।
নাজমুলের পর জাকের-নাসুম : শুরুটা ছিল দারুণ। প্রত্যাশামতো হয়নি মাঝের ব্যাটিং। ইনিংসের শেষ বলে ফজলহক ফারুকিকে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারেন জাকের আলী। তাতেই আড়াইশ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটির পর শেষ বেলায় নাসুম আহেমেদের সঙ্গে অভিষিক্ত জাকের আলীর ক্যামিওতে বাংলাদেশ সাত উইকেটে ২৫২ রান করতে পারে। শনিবার শারজায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫৩ রানের লক্ষ্যে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দশ ওভারে এক উইকেটে ৪০ রান। রহমত শাহ ১১ এবং সেদিকউল্লাহ আতাল ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল প্রথম ম্যাচে ২৩৬ রানের ছোট লক্ষ্য পেয়েও বাংলাদেশ ৯২ রানের বড় ব্যবধানে হারে। বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আগের ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়া আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরকে সামলানো। টসের সময় বাংলাদেশকে ২৪০ রানের ভেতরে আটকাতে চাওয়ার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শহীদি। মুশফিকুর রহিম ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়ায় একাদশে একটি পরিবর্তন অনিবার্য ছিল। তার জায়গায় অভিষেক হয় উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলীর। লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনের জায়গায় একাদশে ফেরানো হয় নাসুম আহমেদকে। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আবার তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন।
শুরুটাতে তানজিদ আক্রমণাত্মক খেলেন। আউট হন সেই গফনফরের বলে। পরে প্রথম ম্যাচের মতো এবারও দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশছোঁয়া জুটি পায় বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি করতে পেরেছেন শুধু নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৭ রান করতে তিনি খেলেছেন ১১৯ বল। প্রথম নয় ব্যাটারের সাতজনই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। সৌম্য সরকার ৩৫ রানে এলবিডাব্লুর শিকার হন। রিভিউ নিলে অবশ্য বেঁচে যেতেন তিনি। এছাড়া তানজিদ হাসান ২২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২২ রান। পরে তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহরা হতাশ করলে শেষদিকে দুইশ হওয়া নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
অভিষিক্ত জাকের ও এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় এক বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে আড়াইশ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তিন চার ও এক ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭* রান করেন জাকের। ওয়ানডে অভিষেকে অন্তত তিনটি ছক্কা মারা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার তিনি। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেছিলেন সাব্বির রহমান। নাসুমের ব্যাট থেকে আসে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ বলে ২৫ রান। আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নানগেয়ালিয়া খারোতে। মাত্র ৩২ রানে দুই উইকেট পান রশিদ খান। ফজলহক ফারুকি সাত ওভারে খরচ করেন ৬৯ রান।