আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল
মিরপুরের সাবেক ডিসি জসীমকে কারাগারে প্রেরণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মিরপুরের সাবেক ডিসি (পুলিশ সুপার) জসীম উদ্দীনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রংপুর থেকে তাকে হাজিরের পর বুধবার বিকালে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এই প্রথম জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার কাউকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ ও প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
তাজুল ইসলাম বলেন, জসীম উদ্দীন মিরপুর জোনের ডিসি ছিলেন। তার অধীনে সাতটি থানা ছিল। সেই সব থানার অধীনে পুলিশ কয়েকশ ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে। এগুলোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনিসহ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫টি মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ পরোয়ানামূলে তাকে আজ (বুধবার) রংপুর থেকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সাড়ে ৩টার পর একটা সাদা হায়েস গাড়ি করে তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছিলেন, জুলাই গণহত্যার আসামি মিরপুরের সাবেক ডিসি জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এর আগে, ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আর বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ২০ জনকে হাজির করতে ২৭ অক্টোবর নির্দেশ দেন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল। সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি, ফারুক খানসহ ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজিরের নির্দেশ দেন। ২০ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ আরও ৬ জনকে। ওই দিন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের ১০ মন্ত্রীসহ অন্তত ২শ জনের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযোগ পড়েছে ট্রাইবু্যুনালে। এছাড়া গুমের অভিযোগ পড়েছে অর্ধশত।