প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
বাসস
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফেরেন। তিনি ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে এই দুই দেশে যান।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সফরকালে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, জাতিসংঘের মানবাধিকারসংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্যাসিফিকবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রত্যেকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
এসব বৈঠকে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতিনির্ধারণী বা ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, সেনাপ্রধান র্যাব ফোর্সেসে প্রেষণে নিয়োজিত থাকাকালীন সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত না করার বিষয়ে সবাইকে অবহিত করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে অন্তর্র্বর্তী সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর চলমান কর্মকাণ্ডের ওপর আলোকপাত করেন। সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনীর পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক ও শান্তি-শৃঙ্খলার উন্নয়নে নেওয়া নানামুখী ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্টগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার বিষয়ও তাদের অবগত করেন।