রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ : বিশেষজ্ঞদের অভিমত
রাজনৈতিক ঐকমত্যেই সমাধান
জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে উচ্চ আদালতের পরামর্শ নিয়ে সরকার চাইলে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে * স্পিকার যেহেতু নেই, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেবেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নিতে হবে বলে মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই সংবিধানে সমাধান না খুঁজে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, রাষ্ট্রপতিকে কোন প্রক্রিয়ায় সরানো যাবে, কিংবা তিনি কার কাছে পদত্যাগ করবেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নিয়োগ কে দেবেন-তা সংবিধানে স্পষ্ট করেই বলা আছে।
যদিও পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন অনেক কিছুই সংবিধান মেনে হচ্ছে না, এমন অবস্থায় জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে উচ্চ আদালতের পরামর্শ নিয়ে সরকার চাইলে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে বিতর্ক এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনা চলছে।
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা সাংবিধানিক বিষয় নয়, এখন এটি রাজনৈতিক বিষয়। তার মতে, রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বুধবার যুগান্তরকে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করার ক্ষমতা রয়েছে সংসদের হাতে। সংসদ চাইলে তাকে অভিশংসন করতে পারে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর সংসদ বাতিল করে দেওয়ায় সেই সুযোগ এখন আর নেই। আবার রাষ্ট্রপতি চাইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু স্পিকারও ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
ডেপুটি স্পিকারও কারাগারে থাকায় সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে সংবিধান ও আইনগতভাবে তাকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে একটি স্বৈরাচারী সরকারের বিদায়ের পর সবকিছু তো আর সংবিধান অনুযায়ী হচ্ছে না। তাই নিয়ম বা সংবিধানের প্রশ্ন এখানে অবান্তর। বরং জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সরকার চাইলে করতেই পারে। তিনি আরও বলেন, বিদায়ি সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে অনেককেই তো সরকার সরে যেতে বলেছে। সেসব ক্ষেত্রে তো সংবিধান দেখা হয়নি। সুতরাং রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রেও তা হতে পারে, প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করলেও তার পদত্যাগ কিংবা অপসারণের দাবির প্রশ্নে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, কেউ যেন কোনোভাবে দেশে নতুন করে সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের সংকট তৈরির চেষ্টা করা হলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য দুই সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, এটি তিনি শুনেছেন। তবে তার কাছে এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।’ তার এই বক্তব্যের পরপরই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘শপথ ভঙ্গের’ অভিযোগ আনা হয়। সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনেন। এই ঘটনার পর তিনি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের এই সাক্ষাৎ পর্বের পরপরই রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া এবং কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি-এ নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-পর্যালোচনা।
সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না যুগান্তরকে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ঘটনার পর নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের সমর্থন নিয়ে ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট খন্দকার মোশতাক সামরিক আইন জারি করে নিজেই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর তিনি নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে খন্দকার মোশতাক আহমদ ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেদিনই সামরিক অফিসারদের অনুরোধে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম। পরে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করেন বিচারপতি সায়েম।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পদত্যাগের ঘটনা টেনে জেড আই খান পান্না বলেন, প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন এরশাদ। ওইদিন প্রথমে পদত্যাগ করেছিলেন তখনকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমদ। এরপর জেনারেল এরশাদ বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেন এবং নিজে পদত্যাগ করেন। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে, তাই সংবিধানের মাঝ দিয়ে বৈধতা-অবৈধতা সাংবিধানিক পদ্ধতিতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে সেটাও তারা কাভার করার জন্য আপিল বিভাগ থেকে একটি রেফারেন্স নিয়ে আসছেন। তাই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে, সেটার জন্য তারা চাইলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ থেকে রেফারেন্স নিতে পারেন। সেই রেফারেন্স অনুযায়ী তারা একজনকে বাদ বা নতুন একজনকে নিয়োগও দিতে পারেন। বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় এ ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় চলে গেলে সাংবিধানিক কোনো সমস্যা নেই। স্পিকার যেহেতু নেই, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেবেন, তিনি তা গ্রহণ করবেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব এ প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্র-জনতার দাবি মেনে নিয়ে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করবেন। ডকট্রিন অব নেসেসিটি অনুযায়ী পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে, তিনি তা গ্রহণ করবেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে এবং দেশের বর্তমান বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে তার বিদায়টা কিভাবে হবে, এ নিয়েও এখন সর্বত্র আলোচনা চলছে। যদিও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ কিংবা তার পদত্যাগ সম্পর্কে সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ক্ষেত্রমতো রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।’ এছাড়াও সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদের ৬ ধারায় বলা আছে, ‘এই অনুচ্ছেদের (২) দফার বিধানাবলি সত্ত্বেও ক্ষেত্র মতো স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল রয়েছেন বলে গণ্য হবে।’
কিন্তু জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। এর আগে ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মূলত এর পরপরই রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে চূড়ান্ত আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়াও ইনকিলাব মঞ্চ, রক্তিম জুলাই, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতার মঞ্চসহ তাদের সমমনা বেশ কয়েকটি সংগঠন মঙ্গলবার বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। এর আগে বঙ্গভবনের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক ব্যাখ্যায় মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সবার প্রতি আহ্বান জানান।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। তখনকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর তালিকায় তার নাম ছিল। কর্মজীবনে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় সম্পৃক্ত হন মো. সাহাবুদ্দিন।
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার লেখা এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার হাতে নেই।’ তার এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বঙ্গভবনের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত এবং শহিদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল-সমাবেশ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্রজনতা। সামাজিক মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করে তার পদত্যাগ কিংবা তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর প্রথমে সেনাপ্রধান ও পরে রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন।