Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি

বঙ্গভবনের সামনে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ নিরাপত্তা জোরদার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বঙ্গভবনের সামনে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ নিরাপত্তা জোরদার

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাদের ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া বঙ্গভবনের ফটকের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।

বুধবার বিকাল থেকে বঙ্গভবনের মূল ফটকের সামনের সড়কে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় মোজাম্মেল মিয়াজি নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, আপনারা জানেন ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তার কাছে পদত্যাগপত্র আছে। অথচ এখন রাষ্ট্রপতি বলছেন তার কাছে পদত্যাগপত্র নেই। তার মানে এই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করছেন। তাছাড়া তিনি খুনি হাসিনার দালাল। হাসিনা যখন গণহত্যা চালিয়েছে। তখন তিনি কোনো শিক্ষার্থীকে দেখতে যাননি। শিক্ষার্থীদের পক্ষও নেননি। এই রাষ্ট্রপতি থাকলে দেশের মানুষের রক্ত চুষে খাবে। তাই তার পদত্যাগ না হওয়ার পর্যন্ত আমরা বঙ্গবভন ছেড়ে যাব না।

সায়েদাবাদ থেকে জাহানারা নামে এক গৃহিণী রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গবভনের সামনে আন্দোলন যোগ দেন। তিনি বলেন, আমি সায়েদাবাদ থেকে এখানে আসছি শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট দিতে।

এদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবভনে আসেন জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বঙ্গবভনের সামনে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। প্রায় ২০ মিনিট বিক্ষোভ করে তাদের মিছিলটি ৫টা ৫০ মিনিটে দৈনিক বাংলা মোড় দিয়ে চলে যায়। এ সময় ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার দোসর ও মনোনীত ব্যক্তি। ছাত্র-জনতার সরকারে তার থাকার কোনো অধিকার নেই। অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে। সাহাবুদ্দিন খুনি হাসিনার দোসর হলেও তিনি আমাদের রাষ্ট্রপতি। তাকে আমরা সম্মান করি। তাই তাকে বলতে চাই, আপনি সসম্মানে চলে যান। ছাত্র-জনতার সরকারে আপনার দরকার নেই। আপনার নিজের সম্মান রক্ষার্থে আপনি নিজে পদত্যাগ করুন। অন্যাথায় জনগণ আপনাকে ছাড়বে না। আপনার গদি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একাধিক ব্যক্তিকে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ইব্রাহিম সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থী জানান, তারা তিনজনই গতকাল সন্ধ্যায় এখানে আসেন। তারা মোট সাতজন এখানে সারা রাত অবস্থান করেন। কয়েকজন অসুস্থবোধ করায় তারা (অসুস্থ ব্যক্তিরা) চলে যান। কিন্তু তারা তিনজন রয়ে গেছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা এখান থেকে যাবেন না।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন অসংখ্য বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।

বঙ্গবভনের সামনে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বঙ্গবভনের প্রধান ফটকের সামনে ও চারপাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। যাতে করে কোনো আন্দোলনকারী ভেতরে ঢুকতে না পারে। বঙ্গবভনের ফটকের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। যাতে করে সেখানে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম