Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন

সবজির চড়া দামে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সবজির চড়া দামে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল নীতির কারণে সৃষ্ট লাগামহীন মূল্যস্ফীতির প্রবল চাপ এই সরকারকে প্রথম থেকেই মোকাবিলা করতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকেই মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছিল। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সতর্কতামূলক কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় এ হার এখন কমতে শুরু করেছে। তবে এখন পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত এখন সবজির কারণেই মূল্যস্ফীতির হার চাপে রয়েছে। সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির গতিধারা জুলাই-সেপ্টেম্বর শীর্ষক প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে রোববার প্রকাশ করা হয়েছিল এপ্রিল-জুন মেয়াদের প্রতিবেদনটি।

সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় নতুন সরকারকে মূল্যস্ফীতির প্রবল চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপের মুখে পড়েছিল আগে থেকেই। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা প্রকট আকার ধারণ করে। গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৭ শতাংশে ওঠে। যা আগের ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১ শতাংশে উঠেছে। এটিও একটি রেকর্ড। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কমে আবার ৯ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পচনশীল পণ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়াতে বেশি অবদান রেখেছে। জুন প্রান্তিকে পচনশীল পণ্যের অবদান ছিল ১৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। আমদানিজনিত পণ্য থেকে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। জুন প্রান্তিকে এ খাতের অবদান ছিল ৩৯ শতাংশ। এখন তা কমে ২৬ শতাংশে নেমেছে।

এদিকে দেশীয়ভাবে জোগান আসা পণ্যের দাম বেশি বাড়ায় এ খাত থেকেও মূল্যস্ফীতির হার বেশি বাড়ছে। এর মধ্যে শাকসবজিসহ অন্যান্য পণ্য রয়েছে। গত জুনে এসব পণ্যের কারণে মূল্যস্ফীতির হার বাড়াতে অবদান রেখেছিল ৬১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশে। অপচনশীল পণ্যে মূল্যস্ফীতির হারে অবদান কমেছে। গত জুনে ছিল ৭০ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশে।

এদিকে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মজুরি বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। একদিকে মজুরি বৃদ্ধির হার কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। এতে ভোক্তার ওপর চাপ আরও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত বন্যা ও জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই পণ্যের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতিকে চাপে ফেলেছে।

সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে আগামী প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির হার আরও কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম