প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় দুদু
তারেক রহমান আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এটা যদি কাউকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয়, তাহলে একটু অসুবিধা আছে। ১৬ বছর ধরে হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে’ এক প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, এক মাসে কিছু হয় না। একটা সন্তান জন্ম দিতেও নয় মাস লাগে। ১৬টি বছর এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে। ১৬টি বছর এ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। ১৬টি বছর জেল খেটেছে। এক মাসের আন্দোলনের কথা সব বিবেচনায় যদি এনে থাকেন সেটা ঠিক হয়নি। এজন্য যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় তার উপযুক্ততা প্রমাণ করতে পারবে। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেদিকেই আমি সরকারকে আহ্বান করি। কারণ এই সরকার আমাদের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান করছি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে চলাটাই এ সরকারের সাফল্যের একটি কারণ হতে পারে। দূরত্ব বাড়লে দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার জন্য মানুষের বিপদ হতে পারে। সরকার অনতিবিলম্বে কতদিনের মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাশা করে এটি যত তাড়াতাড়ি তারা বলবে ততই ভালো।
দুদু বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের কাছে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করি না। ছোট একটি প্রত্যাশা আছে। দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জ্ঞান গরিমা এবং কর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তি। তিনি নির্বাচন কবে হবে এই কথাটা যতদিন জাতিকে জানাতে না পারবেন ততদিন নানান বিতর্ক তৈরি হবে। এই বিতর্ক সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা থাক, এটা আমরা প্রত্যাশা এবং পছন্দ করি না।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশেই আছে। তারা বসে বসে নানা ষড়ষন্ত্র করছে। এদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব যত দ্রুত সম্ভব গণহত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা। বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংকট সমাধান সম্ভব নয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল আল বাকি, সহসাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন রবি, একে খোদা তোতন প্রমুখ।