বিদেশে হোটেল বাড়ি বাগান
৫ দেশে নজরুলের হাজার কোটি টাকা পাচার
দুবাই লন্ডন হংকং ও সৌদি আরবে অঢেল সম্পদ * হংকংয়ে পাচারকৃত অর্থ লন্ডন থেকে ফেরত আনা হয় রেমিট্যান্স দেখিয়ে * শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা ছবি ভাঙিয়ে ব্যাংক সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি * দানবীর সেজে চাঁদাবাজির টাকা দিতেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে
তোহুর আহমদ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নজরুল ইসলাম মজুমদার/ফাইল ছবি
নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপ ও বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তবে এসব ছাপিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসাবে তার পরিচিতি সর্বত্র। পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানো তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি। এ সুবাদে তিনি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান পদ পেয়ে যান। টানা প্রায় ১৫ বছর এই পদে। এই পদে যাওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদে তিনি দেশের ব্যাংক খাতের অন্যতম মাফিয়া বনে যান। আর্থিক খাতের নানা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির টাকায় দেশ-বিদেশে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে রয়েছে তার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ। তবে শেষ পর্যন্ত ‘চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন’ প্রবাদের মতো তারও শেষ রক্ষা হয়নি। তিনিও ধরা পড়লেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেফতারের সংবাদ দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে মজুমদার ব্যাপক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। অংশীদারি ব্যবসা হলেও ক্ষমতার দাপটে নাসা গ্রুপে তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন। এক পর্যায়ে কোম্পানির ২০ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর পরিচালক আলতাফ হোসেনকে বেআইনিভাবে বের করে দেওয়া হয়। পরে একাধিক সাজানো মামলার পর গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসন লেলিয়ে দেওয়া হয় তার (আলতাফ হোসেন) বিরুদ্ধে। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও দমেননি আলতাফ। মালিকানা ফেরত পেতে তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন। পাশাপাশি মজুমদারের অর্থ পাচারের অকাট্য প্রমাণসহ নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে চিঠি দেন।
সূত্র জানায়, লন্ডন এবং হংকং ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মজুমদারের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। সেখানে রিয়েল এস্টেট খাতে একাধিক কোম্পানি খুলে তিনি ব্যবসা করছেন। এছাড়া ২০১৫ সালের দিকে তিনি সৌদি আরবের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করেন। সৌদির একাধিক খেজুর বাগানে বিনিয়োগ রয়েছে তার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের রাজধানী দোহায় তার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। সিআইডি জানায়, ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নাসা গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে শত শত কোটি টাকা দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
অর্থ পাচার : অভিযোগের সূত্র ধরে মজুমদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) গোপনে এক বিশেষ অসুন্ধান চালায়। এতে বিশ্বের একাধিক দেশে তার বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে মজুমদারের স্বনামে খোলা একটি হিসাবে (নম্বর ৪১৪৭৮৫০৮) বিপুল অঙ্কের লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় লন্ডনে তার একাধিক বাড়ি, হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মেলে। এর মধ্যে লন্ডনের প্যালেস গার্ডেন টেরেস (ডব্লিউ ৮৪৫বি) এলাকার ৩৯ বাড়িতে মজুমদার নিজেই মাঝে মাঝে গিয়ে থাকেন।
সূত্র জানায়, বিএফআইইউ’র অনুসন্ধানে লন্ডনের বাইরে হংকংয়ে নাসা গ্রুপের অর্থ পাচারের অকাট্য প্রমাণ মেলে। হংকংয়ের এম/এস এম.এন এন্টারপ্রাইজ এবং এম/এস ওয়ার্ল্ড টেক্সট্রিম সিও নামের দুটি প্রতিষ্ঠানে নাসা গ্রুপ গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি করে। আবার রহস্যজনকভাবে এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকেই বিভিন্ন গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ আমদানি করা হয়। এখানেই শেষ নয়, হংকংয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যাংক হিসাব থেকে পুনরায় লন্ডনে মজুমদারের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এতে তার অর্থ পাচারের বিষয়টি দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়। কিন্তু এসব প্রমাণ সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তখন মজুমদারের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ পাচারের জন্য নাসা গ্রুপের পোশাক রপ্তানি অর্ডার এবং সংশ্লিষ্ট সব অ্যাক্সেসরিজ আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র ওভার ইনভয়েসিং করা হয়। অনেকটা কুমিরের ছানা দেখানোর গল্পের মতো হংকংয়ে নিজের কোম্পানি থেকে বারবার পাঠানো হয় সব আমদানি ও রপ্তানি আদেশ। এসব অপকর্মে তার বিশস্ত সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মামুন আব্দুল্লাহ। তিনি নিজেই হংকংয়ে বসে মজুমদারের এই অর্থ পাচার নেটওয়ার্ক দেখভাল করেন। পরে বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসাবে আব্দুল্লাহকে এক্সিম ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়।
এদিকে ট্রেড বেইসড (বাণিজ্যভিত্তিক) মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান।
সিআইডি জানায়, নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফিরোজা গার্মেন্ট ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ১৩০টি এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট (বিক্রয় চুক্তি) গ্রহণপূর্বক এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও রপ্তানিমূল্য প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে না এনে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের তথ্য সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারের মাধ্যমে লন্ডনের ফিলিমোর গার্ডেন এবং ব্রান্সউইক গার্ডেনে তার মেয়ে আনিকা ইসলামের নামে বাড়ি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিআইডি জানায়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নজরুল ইসলাম নাসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড সুবিধার আওতায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল এনে সেই পণ্য দেশীয় খোলাবাজারে বিক্রয় করে শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন।
চাঁদাবাজি : ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান পদ ব্যবহার করে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে মজুমদারের বিরুদ্ধে। অভিনব পন্থায় চাঁদাবাজির নিত্যনতুন খাত বের করেন তিনি। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ, সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যারাথন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের নামে ব্যাংক সেক্টর থেকে হাজার কোটি টাকা আদায় করা হয়। সর্বশেষ শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের নামে অন্তত ৩শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মজুমদার।
একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বুধবার যুগান্তরকে বলেন, বিএবির চেয়ারম্যান হিসাবে মজুমদার যা করছেন তাকে শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার বললে যথেষ্ট বলা হয় না। অনেকটা প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের মতো করে টাকা নিয়ে গেছেন তিনি। এজন্য যখন-তখন ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা চেয়ে তিনি চিঠি পাঠাতেন। এসব চিঠি নিয়ে রীতিমতো তটস্থ থাকতেন ব্যাংকের নির্বাহীরা। কারণ চাহিদামতো টাকা দেওয়া না হলে নানাভাবে হয়রানি করা হতো। এমনকি ত্বরিতগতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ তদন্ত শুরু হয়ে যেত।
নিয়ন্ত্রণ : বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মজুমদার সেখানেও তার একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় তার একক সিদ্ধান্তে বেআইনিভাবে নাসা গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন জনৈক রঞ্জন চৌধুরী, সাইফুল এবং অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা সিরাজ ও আফসার উদ্দিন। এক পর্যায়ে মজুমদার তার মামাতো ভাই নজরুল ইসলাম স্বপনকে ব্যাংকের পরিচালক পদে বসান। এছাড়া মজুমদারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ব্যাংকের গুলশান শাখার সাবেক ম্যানেজার মাকসুদার মাধ্যমেও নানা ধরনের অপকর্ম ঘটানো হয়।
তবে শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয়। নিজের এলাকা কুমিল্লার লাকসামেও তার বিরুদ্ধে অপরের সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে। লাকসামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামানের সম্পদ দখল নিয়ে মজুমদারের নৃশংস রূপ প্রকাশ্যে আসে। হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুধবার হাসানুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, তার পৈতৃক সম্পত্তির ওপর মজুমদারের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। জমি তাকে লিখে দেওয়ার জন্য নানা জায়গা থেকে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু এতে তিনি রাজি না হলেও বিভিন্ন জায়গায় ৪-৫টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এতেও কাজ না হলে তার পেছনে প্রশাসন লেলিয়ে দেন মজুমদার।
হাসানুজ্জামান বলেন, এমন অন্যায়ের বিচার চেয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু মজুমদারের নাম শুনলে সংশ্লিষ্টদের অনেকে চুপসে যেত। এক পর্যায়ে তিনি মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়। মজুমদার ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন লাগিয়ে দেন। এক পর্যায়ে প্রাণে বাঁচতে তিনি মামলা তুলে নেন।
হাসানুজ্জামান আরও বলেন, মজুমদার আমার যেসব সম্পত্তি দখল করেছে তার বর্তমান মূল্য ৫শ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এতদিন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়নি। ভুক্তভোগী হয়েও তার ভয়ে বরং পালিয়ে থাকতে হয়েছে। তবে শুধু ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। মজুমদারের দখলে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি। রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় শত শত বিঘা সরকারি সম্পত্তি দখল করে নাসা গ্রুপের সাইনবোর্ড লগিয়ে দেওয়া হয়।
যুগান্তরের লাকসাম প্রতিনিধি জানান, নজরুল ইসলাম মজুমদারের পিতার নাম আনা মিয়া মজুমদার। তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে মজুমদার তৃতীয়। প্রয়াত আনা মিয়া স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে পাঁচ সন্তানের লেখাপড়া খরচ জোগানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে মজুমদার স্থানীয় দৌলতগঞ্জের ব্যবসায়ী চান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে চান মিয়ার মেয়ে নাসরিন আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মজুমদার তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলে নেন। পরে তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে জনৈক আজিম মান্নান গ্রুপের গার্মেন্টে চাকরি নেন। প্রায় ৭ বছর সেখানে চাকরির পর চার বন্ধু মিলে শুরু করেন গার্মেন্ট ব্যবসা। চার বন্ধুর নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে কোম্পানির নাম দেওয়া হয় নাসা (নজরুল, আলতাফ, সাইফুল, আব্দুল্লাহ)। কিন্তু কয়েক বছর না যেতেই কোম্পানিতে ভাঙন ধরে। কোম্পানির অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মজুমদার বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সঙ্গে তার ব্যাপক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তিনি বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছাড়াও ব্যাংক মালিকদের প্রভাবশালী সংগঠন বিএবির শীর্ষ পদ পেয়ে যান। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সূত্র বলছে, মজুমদার মূলত ২০১৭ সালের পর দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে নিজেকে একক ক্ষমতাধর বলে জানান দেন। এ সময় তার বড় ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলামের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ভায়রার মেয়ের বিয়ে হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে শেখ হাসিনাকে তিনি বোন (বেয়াইন) ডাকা শুরু করেন।