মূল আলোচনা ৬ সংস্কার কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা
শনিবার থেকে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সংলাপ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার ধারাবাহিকভাবে সংলাপ শুরু হবে। এতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এবারের সংলাপে সরকার গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আলোচনা হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তবে সূত্র বলছে, এবারের সংলাপেও আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারে সুনির্দিষ্ট ৬টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন এসব কমিশনে অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আর পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর কিছুটা আপত্তি এবং অন্যান্য ইস্যুতে তা কিছুটা পিছিয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে কার্যক্রম শুরু হবে। শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টামণ্ডলী এর আগে দুই দফায় দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনা করবে। ওই আলোচনায় উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠিত হবে।
কতক্ষণ সংলাপ হবে এবং একদিনেই সবার সঙ্গে সংলাপ হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আলোচনার দিনই সংলাপের সময় বাড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, কমিশনের কাজ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে যে কীভাবে সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার ৪ দিনের মাথায় ১২ ও ১৩ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এরমধ্যে ছিল-বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) কয়েকটি দল ও জোট। এসব দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়। ৩০ আগস্ট বিএনপির সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এরপর ৩১ আগস্ট থেকে বৈঠক করেন এলডিপি, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন এবং ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংস্কারে জোর দিয়েছে।