Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

আওয়ামী লীগ আউট, বিএনপি ইন

বায়তুল মোকাররম মার্কেট মাফিয়া চক্রে বন্দি

বায়তুল মোকাররম মার্কেট স্বর্ণ চোরাচালান ও হুন্ডি চক্রের সদর দপ্তর * ফুটপাত নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, মাস্তান ও রাজনৈতিক নেতারা একাট্টা

Icon

তোহুর আহমদ

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বায়তুল মোকাররম মার্কেট মাফিয়া চক্রে বন্দি

বায়তুল মোকাররম। দেশের জাতীয় মসজিদ। কিন্তু এই পবিত্র স্থাপনার চারপাশ ঘিরে রীতিমতো অপরাধের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এমনকি চোরাচালান ও অর্থ পাচারের মতো অপরাধে জড়িত সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা চলছে প্রকাশ্যে। থেমে নেই চাঁদাবাজি। মসজিদের তিন দিকে বিস্তীর্ণ ফুটপাতের চাঁদাবাজিতে স্থানীয় মাস্তান, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতারা রীতিমতো একাট্টা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহসা এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ দেখা যাচ্ছে না। এতদিন মার্কেট ঘিরে সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা। কিন্তু পট পরিবর্তন হলেও বদল হয়নি আগের পরিবেশ। এক শ্রেণির চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়নি বায়তুল মোকাররম। ফের নতুন করে এলাকা দখলে নিয়ে নিচ্ছে বিএনপি পরিচয়ে অপরাধীদের বিশেষ সিন্ডিকেট।

বায়তুল মোকাররম এলাকার অরাজক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, সম্প্রতি তিনি সরেজমিন বায়তুল মোকাররম এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এতে তার চোখে করুণ পরিস্থিতি ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয় পাড়া-মহল্লার অনেক মসজিদের পরিবেশও এর থেকে ভালো। কিন্তু এতদিন সবকিছুর পেছনে এক ধরনের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি ছিল। ফলে চাইলেও তেমনভাবে কাঙ্ক্ষিত কোনো পরিবর্তন আনা যায়নি। তবে শিগগিরই এখানে বড় ধরনের পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন।

মাফিয়া চক্র : বায়তুল মোকাররম মার্কেটের গডফাদার হিসাবে এক নামে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব উদ্দিন ওরফে গাজী সোহরাব। তিনি আওয়ামী লীগের বায়তুল মোকাররম ইউনিটের সভাপতি। স্থানীয় ফুটপাতে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে দখল, চোরাচালান এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বাণিজ্যের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ সোহরাবের হাতে। এছাড়া মার্কেট এলাকায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন সোহরাব। স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত মজিবর ও কালু তার ডান হাত হিসাবে কাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সোহরাবের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামে। হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সোহরাব এক সময় বায়তুল মোকাররম এলাকায় হকারি করতেন। একপর্যায়ে রাজনীতির খাতায় নাম লিখিয়ে নেতা বনে যান। বর্তমানে চাঁদাবাজির টাকায় সোহরাব অঢেল সম্পদের মালিক। শুধু বায়তুল মোকাররম মার্কেটেই নামে-বেনামে তার দোকান সংখ্যা অন্তত ১৫টি। এছাড়া বছরখানেক আগে নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে তিনি মার্কেটের ৩ নম্বর গুদাম দখল করে নেন। পরে সেখানে অবৈধভাবে ৭টি দোকান নির্মাণ করা হয়। একেকটি দোকান বিক্রি হয় দেড় কোটি টাকা করে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, মসজিদের পিলার ভেঙে দোকান সম্প্রসারণের অভিযোগে ২০১৩ সালে সোহরাবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু দলীয় প্রভাবের কারণে তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এছাড়া সোহরাবের নানা অপকর্মের বিষয়ে কয়েক দফা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু এতে কাজ হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেন সোহরাব। বর্তমানে তাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তবে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে ব্যবসা দেখভাল করছেন তার এলাকার লোকজন এবং ভাই ও ভাগনে। সোমবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সুপার মার্কেটের নিচতলায় সোহরাবের দোকান দেখিয়ে দেন (দোকান নম্বর এইচ-৬)। সেখানে তার এক ভাই (নাম প্রকাশ করতে চাননি) যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক কারণে অনেকেই বিপদে পড়েছেন। এর সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ মনগড়া নানা অভিযোগ করছেন। এগুলো আদৌ সঠিক নয়। দখল বা চাঁদার মতো অপরাধের সঙ্গে সোহরাব কোনোদিনই জড়িত ছিলেন না।

চোরাচালান : বায়তুল মোকাররমের পবিত্র চত্বরে আস্তানা গেড়েছে চোরাচালান, নকল পণ্য এবং অর্থ পাচারের একাধিক হুন্ডি চক্র। বিশেষ করে মসজিদের দোতলায় অলঙ্কার মার্কেট ঘিরে রীতিমতো স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেছে। এছাড়া আছে মাদক ও অস্ত্র সিন্ডিকেট।

সূত্র বলছে, বায়তুল মোকাররমকেন্দ্রিক স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের মধ্যে সবার শীর্ষে রিয়া জুয়েলার্সের মালিক সালাউদ্দিন ওরফে সালাম। চোরাচালান জগতে রিয়া জুয়েলার্স হান্টু পার্টি (৯৯৯ ব্র্যান্ডের বার) নামে পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া ছিলেন সালাউদ্দিন। এছাড়া তার ছোট ভাই রুহুল আমিন নিজেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। সোমবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, দোতলায় বিশাল জায়গা জুড়ে রিয়া জুয়েলার্সের শোরুম। দোকান নম্বর ৫, ৭ ও ৭-এ। আলো ঝলমলে শোরুমে শতকোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার থরে থরে সাজানো। কিন্তু সেখানে ক্রেতা নেই বললেই চলে। বিশাল দোকানের এদিক-ওদিক ছড়িয়ে অলস সময় পার করছেন কর্মচারীদের অনেকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০০ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী শ্রমিক ছিলেন সালাউদ্দিন। সেখান থেকেই তার চোরাচালান জগতে হাতেখড়ি। পরে ভাই রুহুল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন তিনি। বর্তমানে স্বর্ণ চোরাচালান জগতে পরিচিত প্যাকেট, পোটলা ও বার ব্যবসার একটি বড় অংশ চলে রিয়া জুয়েলার্সের নিয়ন্ত্রণে।

স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে রিয়া জুয়েলার্সের মালিক সালাউদ্দিন সালামের মোবাইলে বুধবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে (একটি বিদেশি নম্বর ব্যবহার করে খোলা) যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। এছাড়া তার বড় ভাইও প্রবাসে থেকে নানা ধরনের ব্যবসা করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কখনোই ঘনিষ্ঠতা ছিল না। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট অভিযোগ।

সূত্র জানায়, রিয়া জুয়েলার্স ছাড়াও বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আরও একাধিক স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আলভী জুয়েলার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক রফিক ও কামাল আগে লাগেজ পার্টি এবং ডলার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তারা সিঙ্গাপুর থেকে স্বর্ণালঙ্কার চোরাচালানের ‘পোটলা পার্টি’ নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়া মসজিদ চত্বরে স্বর্ণ চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে কুঞ্জ, ইতিহাদ ও আলভী জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে।

হুন্ডি : চোরাচালান ছাড়াও বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ‘সুলতান জুয়েলার্স’ নামের দোকান থেকে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার বা হুন্ডির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মালিকের নাম আল-আমিন ব্যাপারি ওরফে চুন্নু। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি আন্তর্জাতিক হুন্ডি ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত।

সূত্র বলছে, বায়তুল মোকাররমে বসে হুন্ডি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন চুন্নু। মূলত যারা দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে অবৈধ পথে আনা স্বর্ণের চালান নিয়ে আসেন তাদের টাকা চুন্নুর মাধ্যমে হুন্ডি করা হয়। এ খাতে প্রতি মাসে শতকোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি নকল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা আছে চুন্নুর। তবে চুন্নু ছাড়াও বায়তুল মোকাররম মার্কেটের স্বর্নালঙ্কার ব্যবসায়ী ও ফারিয়া জুয়েলার্সের মালিক কামরুল, নিবিড় জুয়েলার্সের মালিক মুনির এবং জনৈক সাদেক খান ও দিপুর বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। সোমবার মার্কেটে গিয়ে সুলতান জুয়েলার্সের খোঁজ করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মার্কেটের দোতলায় ২৪ নম্বর দোকান দেখিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে ডায়মন্ড বাজার নামের একটি দোকানের সাইনবোর্ড দেখা যায়। দোকান কর্মচারীরা জানান, এ দোকান ভাড়া দিয়ে সুলতান জুয়েলার্স সম্প্রতি অন্যত্র চলে গেছে।

হুন্ডিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আল-আমিন ব্যপারি চুন্নু যুগান্তরকে বলেন, তিনি কখনই হুন্ডি চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এসব মিথ্য এবং বানোয়াট অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আপনারা সরেজমিনে আসেন। তদন্ত করেন। কোনো ব্যবসায়ী আমার বিরুদ্ধে হুন্ডিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করে কিনা দেখেন। লোকসানের কারণে সম্প্রতি নিজের স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসাও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ফুটপাত : বায়তুল মোকাররম ঘিরে বিশাল ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণ যুবলীগের স্টেডিয়াম ইউনিটের সভাপতি দুলালের হাতে। এ খাতে তার প্রধান সহযোগী পল্টন থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গোলাপ ওরফে হিটার গোলাপ। তবে তার মূল শেলটারদাতার নাম মোস্তফা জামান ওরফে পপি। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।

স্থানীয়রা বলছেন, বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মজিবুর রহমান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রউফ ওরফে কাল্লু, ছিন্নমূল হকার্স লীগের হারুন, নজরুল, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আলমগীর ওরফে নোয়াখাইল্ল্যা আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা জনৈক ফিরোজ, চাঁদপুরের মতি, জসিম, দুলাল, রহিম, পুলিশের সোর্স দইয়া মিয়া, বামপন্থি রাজনৈতিক নেতা কবির, যুবলীগ নেতা সবুজ মোল্লা, কালাম ও হকার্স ইউনিয়নের নেতা শিমুল। এছাড়া ফুটপাত থেকে পল্টন থানার ওসির জন্য বরাদ্দ দৈনিক ৪০ হাজার টাকা। তবে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুরোনো চাঁদাবাজদের অনেকেই এলাকা ছাড়া। বর্তমানে চাঁদাবাজিতে মেতেছে যুবদলের জনৈক নেতা টিপু মামা, জিয়া উদ্দিন ও শহীদ। এছাড়া বিএনপির তমিজ উদ্দিন, কামাল, ফিরোজ, বাবুল ওরফে কলম বাবুল। মূলত এদের নেতৃত্বে স্থানীয় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা বলছেন, বায়তুল মোকাররমে ফুটে দুই হাত জায়গা বরাদ্দ পেতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হয়। তবে টাকা থাকলেও জায়গা মেলে না। কারণ মসজিদ চত্বরে এক ইঞ্চি জায়গাও আর খালি নেই। ফলে দক্ষিণ গেট দিয়ে এখন মসজিদ চত্বরে উঠে পড়েছে ফুটপাতের হকাররা। এদিক ঘিরে দিন দিন আরও জোরদার হচ্ছে দখল। মাত্র ২০ ইঞ্চি আয়তনের ‘ফুট ভিটি’র ভাড়া দৈনিক ৫শ টাকা। এর বাইরে দৈনিক চাঁদার অঙ্ক আরও ২৫০ টাকা। গডফাদারদের চিহ্নিত কয়েকজন লাইনম্যান নিয়মিত ফুটের চাঁদা নিয়ে যান। এর মধ্যে ২শ টাকা ওঠে মাস্তান, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নামে। বাকি ৫০ টাকা নেয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা। বিনিময়ে তারা ফুটের দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেন।

দখল : বায়তুল মোকাররমের আশপাশসহ মসজিদ চত্বরের আরও বেশকিছু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে তৃতীয় তলার একটি বিশাল অংশ দখল করে খোলা হয়েছে বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের অফিস। এছাড়া দ্বিতীয় তলার ছাদের একটি অংশ দখল করে নির্মিত হয়েছে পাকা স্থাপনা। সেখানে তৈরি করা হয়েছে ব্যবসায়ী গ্রুপের কনফারেন্স রুম।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. দিলিপ রায়ের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররমের বেশকিছু জায়গা দখল করা হয়। পরে দিলিপ রায় বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের নেতা নির্বাচিত হলে বেদখল জায়গা আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশ কয়েক দফা দিলিপের সঙ্গে দেনদরবার করে। কিন্তু এতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম