ঢাবিতে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা
প্রভোস্টসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ফজলুল হক মুসলিম হল প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনকে আসামি করে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে তোফাজ্জলের ফুপাতো বোন আসমা আক্তার মামলাটি করেন। তবে এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা থাকায় আপাতত এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
আইনজীবী নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, আগের মামলাটির তদন্ত সাপেক্ষে তোফাজ্জল পরিবারের মামলাটি সচল হবে। এ মামলার অপর আসামির হলেন জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতান। তারা সবাই ঢাবির শিক্ষার্থী।
১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুসি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়।
একপর্যায়ে তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্টাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে।
পরদিন দুপুরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলার পর ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হোসেন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।