Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ইউসিবি থেকে ৫০ কোম্পানিতে ঋণ বিতরণে অনিয়ম

১১ হাজার কোটি টাকা আদায় অনিশ্চিত

Icon

মাহবুব আলম লাবলু

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১১ হাজার কোটি টাকা আদায় অনিশ্চিত

বেআইনিভাবে বেপরোয়া ঋণ বিতরণ করায় ‘ফোকলা’ হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রভাবেই মূলত ব্যাংকটির এমন দশা হয়েছে। বিদায়ি সরকার আমলে দেশের ৫০ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ কমিশনের বিনিময়ে ব্যাংক থেকে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। ব্যাংক ঋণ আদায়ও করতে পারছে না।

ফলে ওইসব ঋণ এখন খেলাপিযোগ্য। কিন্তু ব্যাংক রহস্যময় কারণে ওইসব ঋণকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করছে না। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সময়ে এসব ঋণ দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অনিয়মের ঘটনাও এখন ধরা পড়ছে।

অভিযোগ আছে-মোটা অঙ্কের কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে ঋণের নামে এই টাকা ব্যাংক থেকে অনেকে সরিয়ে নিয়েছে। ঋণের টাকাসহ কমিশনের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছে কেউ কেউ। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের সীমা মানা হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠানকে সীমার চেয়ে বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা ও ব্যাংকের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

সূত্র জানায়, ইউসিবির মোট ঋণের স্থিতি ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আলোচ্য ৫০ প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এসব ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটি ঝুঁকিতে পড়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এখন ব্যাংকগুলোতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইঙ্গিতেই খেলাপি ঋণ গোপন করা হতো। এখন সেটি করা হবে না বলে গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন।

ফলে এখন ওইসব ঋণ খেলাপি করা হলে ব্যাংকটির খেলাপির অঙ্ক বেড়ে যাবে। এতে ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণের হারও বাড়বে। একই সঙ্গে বেড়ে যাবে মূলধন সংরক্ষণের হার। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। ওইসব ঋণ খেলাপি হলে ব্যাংকটি আরও সংকটে পড়বে।

জানতে চাইলে ইউসিবি ব্যাংকের সদ্য নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান ও অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না-এমন অনেক কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছি। তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করেছি। ব্যাংকে অডিট চলমান। ফরেনসিক অডিট সম্পন্ন হওয়ার পরই প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসবে। তখন অডিট রিপোর্টের পূর্ণাঙ্গ তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করা হবে। তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি এই মুহূর্তে আমাদের তারল্য সংকট হচ্ছে না। এ অবস্থা ধরে রাখতে এখন থেকে আর কোনো খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিল করা হবে না। এরই মধ্যে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলো খেলাপি ঘোষণার যোগ্য।’

জানা গেছে, এডব্লিউআর কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। মাত্র ১২০ কোটি টাকা কার্যাদেশের বিপরীতে ব্যাংক থেকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির এত বিপুল অঙ্কের ঋণ দেওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। ১২০ কোটি টাকার কার্যাদেশের বিপরীতে ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকাররা। প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র ব্যবসা টেলকোর কল সেন্টার। এর বাইরে অন্য কোনো ব্যবসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একটি মাত্র ব্যবসায় এত কোটি টাকা ঋণ কেন দিলে তার বিশদ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ইউসিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের ভাই রনির সঙ্গে সখ্যের জোরেই এডব্লিউআর কোম্পানিকে এত বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী মোটা অঙ্কের কমিশনও পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এডব্লিউআর নামের প্রতিষ্ঠানকে ১২০ কোটি টাকার কার্যাদেশের বিপরীতে কীভাবে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ পেল-এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘ওটা পুরাই ফ্রড। আমি অবাক হয়ে যাই। হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আমি দেখছি, প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র ব্যবসা টেলকোর কল সেন্টার। ওখানে হার্ডলি এক-দেড়শ কোটি টাকার একটা রেভিনিউ আছে। এছাড়া বাকি সবই ভুয়া।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের বহুল আলোচিত একটি শিল্প গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে শুধু গুলশান শাখা থেকেই ঋণ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এই শিল্প গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। কেবল দুই ব্যাংকেই তাদের ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকে ওই গ্রুপের নামে আরও বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণ রয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামের সাইফ পাওয়ার গ্রুপকে ৭০০ কোটি টাকা, এস আলম গ্রুপকে ৫৫০ কোটি টাকা, কিং ফিশার গ্রুপকে ৪৩০ কোটি টাকা। এসব ঋণের টাকা ফেরত আসছে না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইউসিবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসার পর ব্যাংকটির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি স্পষ্ট হচ্ছে। ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি ব্যাংকটিকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়েছেন। এস আলম গ্রুপ ও দেশের চিহ্নিত কয়েকটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা বের করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।

যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে জাভেদ বিনিয়োগ করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। বেআইনিভাবে ঋণ দিয়ে প্রাপ্ত কমিশনের টাকাও সেখানে তিনি বিনিয়োগ করেছেন। ইউসিবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব কোম্পানির ঋণ হিসাবের সব তথ্য জেনেও রহস্যজনক কারণে সমঝোতার নীতিতে চলছে। অথচ এসব কোম্পানির মালিকদের আইনের আওতায় আনা ছাড়া জাভেদ-রনির অর্থ লোপাট ও পাচারের নেপথ্যে কারা তা উদঘাটন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না নেওয়া কোম্পানির তালিকায় রয়েছে-রূপায়ণ গ্রুপকে ৩৫০ কোটি টাকা, বিবিএস গ্রুপ ৩৪৫ কোটি, এসএস স্টিল ৩০০ কোটি, জেমকন গ্রুপ ২৩৪ কোটি, ওমেক্স ইলেক্টরোড ২০০ কোটি, সিরাজ অ্যানো ইস্পাত ১৩২ কোটি, রুবী ফুড ১১৮ কোটি, ক্যাপিটাল বনানী ওয়ার্ল্ড ১০০ কোটি টাকা।

এছাড়া আরও ৩৭টি কোম্পানি শতকোটি টাকার নিচে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-এনাম হ্যাচারি অ্যান্ড ফিড, ইব্রাহীম এন্টারপ্রাইজ, রিলায়েবল ট্রেডিং, মাহবুব ব্রাদার্স, বেজ টেকনোলজি, দ্য বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েট, গোব ফিসারিজ, গোব ফার্মাসিউটিক্যাল, গোব এগ্রোভেট, মামা-ভাগ্নে টিম্বার ট্রেডার্স, কিংশুক বহুমুখী সমবায় সমিতি, ডালিয়া করপোরেশন, ইউনাইটেড ট্রেডিং, রুদ্র ট্রেডিং, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, শানসাইন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মেঘনা ট্রেডার্স, মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী, মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজ, জুম ইন্টারন্যাশনাল, ডিএইচ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন, প্যাসিফিক অ্যাসেন্সিয়াল ফুড, ন্যাচারাল রাইস ব্র্যান্ড অয়েল কোম্পানি, প্রটেস্টার, রিসোর্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস, ট্রেডভিশন, স্প্যাস ওয়ার্কস ওয়াটার পার্ক, ইউনিভার্সাল গ্যাস অ্যান্ড গ্যাস সিলিন্ডার, রয়েল সি হর্স শিপিং, মেসার্স রোতি এন্টারপ্রাইজ, পিএইচ নেভিগেশন, ওরিয়ন টি কোম্পানি, মেসার্স তিস্তা ট্রেডিং সার্ভিস, টাঙ্গাইল হ্যাচারি ও ঈগোল রাইড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইউসিবি ব্যাংকের গুলশান শাখা, করপোরেট শাখা, কাওরান বাজার শাখায় অডিট খুবই জরুরি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয়েছে। আলোচিত একটি শিল্প গ্রুপের এলপি গ্যাস কোম্পানির ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। আর অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানির ঋণের পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকা। কোন আইনে এই প্রতিষ্ঠানকে এত টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইউসিবির কাছে ব্যাখ্যা চাইলেও ক্ষমতার দাপটে তখন সবকিছু ধামাচাপা দেওয়া হয়। এই গ্রুপ ছাড়াও গুলশান শাখায় আরও কয়েকটি কোম্পানির ঋণ হিসাব নিয়ে বিপাকে আছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে কে স্পোর্টস ও আখতার ফার্নিচার অন্যতম।

ব্যাংকের মহাখালী শাখায় ‘দানবীয়’ অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বিবিএস। দীর্ঘদিন ধরে ‘কোরামিন’ দিয়ে অ্যাকাউন্টটি বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার এমন আরেকটি অ্যাকাউন্টের নাম ওরিয়ন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। আগ্রাবাদ শাখার সিরাজ অ্যানো ইস্পাতের নামে নেওয়া ঋণও দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করা হচ্ছে না। একই অবস্থা এইচএম স্টিলের। রহস্যজনক কারণে বারবার এই প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। খেলাপিযোগ্য হলেও করপোরেট শাখার ইনডেক্স লজিস্টিকসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফরিদপুর শাখার আলাউদ্দিন ট্রেডিং লিমিটেডকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা। শেখ হাসিনার মেয়ের সাবেক শ্বশুর ও সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের অপকর্মের সহযোগী ও অর্থ পাচারকারী এই আলাউদ্দিন ট্রেডিং।

কাওরান বাজার শাখার ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঋণ পরিশোধের অবস্থা সন্তোষজনক না হলেও বারবার তাকে নতুন ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনির যোগসাজশের অভিযোগ আছে। উত্তরা শাখার মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়ার পরও গ্রাহকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো বিভিন্ন সময়ে ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা থেকে সাইফ পাওয়ার টেক, বেক্সিমকো, বোরাক রিয়েল এস্টেট, প্রোটাস্টার, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল বিল্ডিং প্রডাক্টস, প্রভিটা ফিস ফিড, সামা ট্রেডিং এজেন্সি, তমা কন্সট্রাকশনসহ আরও অনেক কোম্পানির নেওয়া শত শত কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে না। এগুলো খেলাপি হিসাবেও ঘোষণা করা হচ্ছে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম