Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

তিন পার্বত্য জেলা

অবরোধ অব্যাহত ধর্মঘট ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অবরোধ অব্যাহত ধর্মঘট ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটি শহর থেকেও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অবরোধের কারণে দুই জেলার জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ৭২ ঘণ্টার অবরোধে দ্বিতীয় দিন রোববারও দুই জেলায় বন্ধ ছিল দূরপাল্লার যানবাহন। খোলেনি অধিকাংশ দোকানপাট। খাগড়াছড়ি শহরের বেশকিছু স্থানে অটোরিকশা চলাচল করলেও রাঙামাটি শহরের অভ্যন্তরেও কোনো যানবাহন চলেনি। অবরোধের কারণে বাঘাইছড়ির সাজেকে আটকা পড়েছেন হাজারও পর্যটক। তবে বান্দরবানে অবরোধে কোনো প্রভাব পড়েনি।

এদিকে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস ফেরাতে রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ হয়েছে। রাঙামাটিতে পরিবহণ শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ থেকে তারা সড়কে গণপরিবহণ চালাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। খাগড়াছড়িতে আলোচিত মামুন হত্যার ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাঙামাটি : রোববার বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এরশাদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা জামায়াতের আমির আবদুল আলীম, জনসংহতি সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা প্রমুখ।

সভায় বলা হয়, ঘটনার দিন গুজব ছড়িয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে পরিস্থিতিকে দ্রুত ভয়াবহ করে তোলা হয়। এতে পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের গুজব প্রতিহত করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি সভা, র‌্যালিসহ এলাকায় সম্প্রীতি সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ওঠে আসে সমাবেশে। শহরে সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থান নিশ্চিত ও সম্প্রীতি পুনঃস্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টায় শহরে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তারপরও রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল ছিল সীমিত। বেশিরভাগ দোকানপাট ছিল বন্ধ। ঘটনার পর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও শহরসহ জেলায় জনমনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। অবরোধের ফলে রাঙামাটি-নানিয়ারচর-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি-বাঘাইছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাওয়া হাজারও পর্যটক আটকা পড়েছেন।

খাগড়াছড়ি : অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ আন্তঃউপজেলাগুলোতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অবরোধের সমর্থনে সকালে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়ক, মানিকছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার ও কাঠে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেছে অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে আলোচিত মামুন হত্যা মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ পাহাড়ি ও বাঙালিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- মো. শাকিল, খাগড়াছড়ির সাবেক পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম, সদ্য সাবেক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম। নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার মামলাটি করেন। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে পূর্বশত্রুতার জেরে মামুনকে অন্য আসামিদের নির্দেশে মো. শাকিল জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে সকালে জানতে পারেন তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম