ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্যভান্ডার
রাষ্ট্রীয় সহায়তায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার থেকে অন্তত ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য বিক্রি হয়েছে। তা নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রতিষ্ঠান। তালিকায় আছে এনজিও-ও। এসব তথ্য বিক্রি করে আসছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতি একজন ব্যক্তির তথ্যের জন্য ৫, ১০ ও ১৫ টাকা হারে আদায় করছে প্রতিষ্ঠানটি। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘পরিচয়’। ‘সরকারি ই-সেবা’ দেওয়ার নামে নির্বাচন কমিশনের তথ্যভান্ডারের ডেডিকেটেড সংযোগ এপিআই (অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) নেয় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ওই সংযোগ ব্যবহার করেই জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করে আসছে পরিচয় প্ল্যাটফরম।
এদিকে নির্বাচন কমিশনও নাগরিকদের তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা করেনি। বিসিসিকে তথ্যভান্ডারের মিরর কপি দিয়েছে। ফলে নাগরিকদের সব তথ্যই সরকারের হাতে চলে যায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন দুই কমিশনের সময়ে এসব তথ্য অন্যদের হাতে যায়। এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন, সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন, আইসিটি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা ও নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিসিসিকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের এপিআই ব্যবহার করে শুরু থেকে এ পর্যন্ত কতজন নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই ও বিক্রি করা হয়েছে, এর সঠিক পরিসংখ্যান ইসির কাছে নেই। এক হিসাবে দেখা যায়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৮টি তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেছে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিন বছর আড়াই মাসে তথ্যভান্ডার থেকে কতসংখ্যক তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হয়, এর হিসাব ইসির কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি মানুষের তথ্য আছে। কারণ হিসাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, কোনো চুক্তি ছাড়াই নির্বাচন কমিশনের এপিআই ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের গেটওয়ে ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফরম তৈরি করা হয়।
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই ‘পরিচয়’ উদ্বোধন করেন বিদায়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিসিসিকে দেওয়া এপিআই চুক্তি ছাড়া ব্যবহার করতে থাকায় আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি সই করে বিসিসি।
তারা বলেন, চুক্তি না থাকায় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের হিসাব রাখার আইনগত ভিত্তি ছিল না এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের পুরোনো সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই তিন বছর আড়াই মাসে কী সংখ্যক তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হয়েছে তার হদিস নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর ইসির সঙ্গে চুক্তি সইয়ের আগ পর্যন্ত তথ্যভান্ডারে থাকা একজন নাগরিকের ৪৬ ধরনের তথ্যের সবই পাওয়ার সুযোগ ছিল কম্পিউটার কাউন্সিলের। ইসির সঙ্গে চুক্তিতে একজন নাগরিকের ১৫ ধরনের তথ্য পেয়ে আসছে বিসিসি। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাম, ছবি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পিতা ও মাতার নাম এবং তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, পেশা, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ ও ধর্ম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তথ্য-উপাত্ত দেওয়ায় নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিয়ে তার পুরো পরিবারকে শনাক্ত করার সুযোগ রয়েছে। বিগত দিনে এ প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগবিরোধীদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
নির্বাচন কমিশনে ভোটার হওয়া নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খানের কাছে, যিনি ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ’ কমিটিরও প্রধান।
রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যোগাযোগ করা হলেও এ কমিশনার কোনো বক্তব্য দেননি। এমনকি তার কার্যালয়ে গেলেও তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করেননি। সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপে তিনটি প্রশ্ন করা হলে তার কোনোটিরই উত্তরও দেননি। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম তথ্যপ্রযুক্তিগত বিষয়গুলো তার নেতৃত্বাধীন কমিটি দেখভাল করে।
আরেক নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার বিসিসির মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কাছে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার যতদূর মনে পড়ে, নির্বাচন কমিশনের কোনো সভায় বিষয়টি এজেন্ডা হিসাবে আসেনি।
তিনি বলেন, চুক্তির বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ যদি তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করে থাকে, যা ইসির জন্য ক্ষতিকর, তাহলে আমাদের টেকনিক্যাল অফিসাররা কমিশনের নজরে আনবেন। তখন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কোনো বিষয়ে আমার নজরে আসেনি।
যেভাবে বিক্রি হচ্ছে তথ্য-উপাত্ত : জানা যায়, ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফরম মূলত একটি তথ্য প্রদান ও যাচাইকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আদলে এ প্রতিষ্ঠানের নামে ‘পরিচয় ডট জিওভি ডট বিডি’ নামের ওয়েবসাইট রয়েছে। এটি পরিচালনা করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান।
এ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য-উপাত্ত সংক্রান্ত তিন ধরনের প্যাকেজে তাদের গ্রাহকদের তথ্য সেবা দিয়ে থাকে। প্যাকেজগুলো হচ্ছে বেসিক (জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই), অটোফিল (এনআইডির তথ্য ও অরিজিনাল ছবি সরবরাহ করে স্বয়ংক্রিয় ফরম পূরণ) এবং অটোফিল প্লাস ফ্রি ম্যাচ (অটোফিল প্যাকেজের সব ফিচার, ম্যাচ সেলফি উইথ অরিজিনাল এনআইডি পিকচার, একক এপিআই)।
এছাড়া পরিচয় প্ল্যাটফরম থেকে মোবাইল নম্বরের বিপরীতে এনআইডি নম্বর সরবরাহ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বেসিক প্যাকেজে ৫ টাকা, অটোফিল প্যাকেজে ১০ টাকা এবং অটোফিল প্লাস প্যাকেজে ১৫ টাকা হারে ফি নিয়ে থাকে। ওই টাকা ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসের নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রি-পেইড সিস্টেমে জমা দিতে হয়।
আরও জানা যায়, এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, ১০২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর গ্রাহক। এর মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, এনবিআর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ ৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ২৩টি ব্যাংক, ৪টি এনজিও, ৩টি ই-কমার্স, ৩টি ইন্সুরেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানও। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচয় থেকে টাকার বিনিময়ে নাগরিক তথ্য যাচাই বা কিনে থাকে। এর বাইরেও এ প্রতিষ্ঠানের আরও গ্রাহক রয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের আইটি ইঞ্জিনিয়াররা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় বিসিসিকে নাগরিকদের বেশি সংখ্যক তথ্য সরবরাহ করছে ইসি। ভোটার তথ্যভান্ডারে থাকা ১৫ ধরনের তথ্য পায় তারা। ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান সাধারণ ৮-১০ ধরনের তথ্য পায়, যা এনআইডির দুই পার্শ্বে থাকে। একমাত্র র্যাব ১৮ ধরনের তথ্য পায়।
বিসিসির এপিআই ব্যবহার করায় পরিচয় প্ল্যাটফরম ওই ১৫ ধরনের তথ্য পাচ্ছে এবং চাইলে ডাউনলোডও করতে পারবে। ইচ্ছা করলে তারা পৃথক তথ্যভান্ডারও তৈরি করতে পারবে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের শামিল। তারা বলেন, একজন ব্যক্তির মোবাইল বা এনআইডি নম্বর দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তার পুরো পরিবারের তথ্য বের করা সম্ভব। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে বিসিসির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের এপিআই ব্যবহার করে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেডের কর্ণধার ওয়াহেদ শরীফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও জানা যায়, পরিচয় প্ল্যাটফরম চালু, নির্বাচন কমিশনের এপিআই সংযোগ পাওয়াসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া চলাকালে বিসিসির পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ। তিনি একাধিকবার ওই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও পান। বিসিসির তত্ত্বাবধানে পরিচয় প্ল্যাটফরমকে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ সোমবার যুগান্তরকে জানান, করোনাকালীন কঠিন সময়ে নাগরিকদের সুরক্ষায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনার সময় তারা বিনামূল্যে সরকারকে সহযোগিতা করেন।
এ কারণে তাদেরকে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে ই-সেবা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যা আয় করবে, তা বিসিসির সঙ্গে ভাগাভাগি করবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করায় তাদের ধার্যকৃত ফি পরিশোধ করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের শর্তে বলা আছে তারা কোনো তথ্য কপি বা চুরি করতে পারবে না। শুধু তথ্য যাচাইয়ের সেবা দেবে।
আইন লঙ্ঘন করছে বিসিসি : জানা যায়, আইন ও বিধি অনুযায়ী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ প্রতিষ্ঠানটি এনআইডি যাচাই সংক্রান্ত সেবাও দিয়ে থাকে। বিসিসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যে চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিপত্রের ‘কমিশনের তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা’ বিষয়ক ২ নম্বর অনুচ্ছেদে বিসিসি কোনো অবস্থায় নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত অন্য কোনো ব্যক্তি, স্বত্বা, পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর, বিনিময়, বিক্রয় কিংবা অন্যপন্থায় প্রদান করতে পারবে না বলে উল্লেখ রয়েছে।
অথচ ইসির তথ্যভান্ডার ব্যবহার করে পরিচয় প্ল্যাটফরম শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য সেবা দিয়ে আসছে। তৃতীয় পক্ষকে তথ্য-উপাত্ত দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের ওই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা বাতিল হয়নি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ’ কমিটির প্রধান হিসাবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে এ বিষয়ে ব্রিফ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
তথ্য-উপাত্ত নিলেও টাকা দিচ্ছে না পরিচয় প্ল্যাটফরম : একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান এক টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫ টাকা হারে (২০২৩ সালের ২ মার্চের আগে ২ টাকা ছিল) পরিশোধ করার বিধান রয়েছে। ওই টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হয়। বিসিসির নামে এপিআই নেওয়ায় তা সরকারি কাজে ব্যবহার হচ্ছে-এমন যুক্তি দেখিয়ে ১ টাকা হারে বিল করছে ইসি। ওই ১ টাকা হারেই ডিজিকনের কাছে ইসির পাওনা ৫ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা। দীর্ঘদিন ওই টাকাও পরিশোধ করছে না প্রতিষ্ঠানটি। অথচ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫-১৫ টাকা হারে ফি আদায় করছে পরিচয় প্ল্যাটফরম। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় বকেয়া ওই টাকা আদায়ে চিঠি দিতে যাচ্ছে ইসি।